২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫২

সান্ধ্যকোর্সের পক্ষে-বিপক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলে তুমুল বির্তক

  © লোগো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ এবং ইনস্টিটিউটে সান্ধ্যকোর্স থাকবে কিনা একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে তুমুল বির্তক চলছে। সোমবার বিকাল তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা চলছে। সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সভা চলেছিল।

বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, সান্ধ্যকোর্স বন্ধের বিষয়ে কিছু শিক্ষকদের বিরোধীতার মুখেও চলমান থাকতে পারে। তবে সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি  আপাতত স্থগিত থাকতে পারে। পরে নীতিমালার আলোকে সান্ধ্যকোর্স থাকবে কি থাকবে না তা নির্ধারণ করা হবে।

সভায় আলোচিত এ কোর্স বন্ধ না করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন শিক্ষকরা।  সান্ধ্যকোর্সের পক্ষ নিয়ে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, এ ধরণের প্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জল করে। আমি যদি আমার বিভাগের কথা বলি তাহলে বলবো, আমার এখানে ডিগ্রি নেয়ার জন্য এখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরাবান্বিত করে।

কোর্সের বিরোধীতা করে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আমাদের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা, যারা মেধা দিয়ে এখানে ভর্তি হয়, তাদের স্বার্থের বিষয়ে আমাদের চিন্তুা করতে হয়। শিক্ষার্থীরা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আমাদের স্যাররা আমাদের সময় দেন না।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সান্ধ্যকোর্স যাচাই কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ সভা থেকে বের হয়ে জানান, সান্ধ্যকোর্স বন্ধের পক্ষে কথা বলায় তার বক্তব্যের মধ্যে সভা থেকে ‘শেইম’ ‘শেইম’ চিৎকার আসে।