১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৬

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। ২০১৮ সালের এই দিনে যাত্রা সংগঠনটির। তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সংগঠনের প্রত্যেক ইউনিটকে কর্মসূচি পালনে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি।

এদিকে আজ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় বেলুন ও পায়েরা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। এরপর কেক কেটে আনন্দ র‍্যালি নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবে। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে ছিন্নমূল শিশুদের খাবার বিতরণ ও বিশেষ উপহার সামগ্রী প্রদান এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কীর অন্যতম আকর্ষণ বলেও জানান তিনি। 

এছাড়া সংগঠনটির অন্যান্য ইউনিটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির মধ্যে থাকবে কেক কাটা, আনন্দ র‍্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠান, মানবিক কর্মসূচি পালন। সারাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিট নিজের সুবিধা অনুযায়ী এই কর্মসূচিগুলো পালন করবে বলে জানায় হাসান আল মামুন।

২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরিতে কয়েক দশক ধরে চলে আসা কোটা ব্যবস্থার প্রতিবাদে এদিন প্রাথমিকভাবে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে ঢাকার বাইরেও বেশ কয়েকটি স্থানে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাটফর্মটির কর্মকাণ্ড যেমন বেড়েছে, তেমনি ছড়িয়েও পড়ে দেশব্যাপী। মূলত এসব বিষয়কে সামনে রেখেই কেন্দ্র ছাড়াও কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ৫ দফা দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থী ও সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা। মানববন্ধন থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, এরপর বিক্ষোভ। সর্বশেষ ৮ এপ্রিল তাদের আন্দোলন বিস্ফোরকের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিন দেশের প্রায় সবকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। ঢাকার শাহবাগে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। হাজার শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করার পর রাতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ভবনে ভাঙচুর করে এবং গাড়ি, আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। টানা আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাবি মেনে নিয়ে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।

বর্তমানেও অন্যায়ের প্রতিবাদে সরব রয়েছে সংগঠনটি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে যাচ্ছে তারা।