১৭ নেতার ৮৩ লাখ, ভিপির খাতায় শূন্য!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপির জন্য প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ৫ লাখ হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন নুরুল হক নুর। গণমাধ্যমে তার অভিযোগ, ডাকসু সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কারণে টাকা উত্তোলন করতে পারেননি তিনি।
এর আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেছিলেন, সত্য হচ্ছে আমাকে নামমাত্র ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকার এক টাকাও হাতে পাইনি।আমি ছোট ছোট তিনটি বাজেট করেছিলাম। কিন্তু টাকার অভাবে সেগুলোও করা হয়নি।
সম্প্রতি কার্যনির্বাহী সভায় ৯ মাসের ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, বাজেটের ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার মধ্যে ৯ মাসে ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন ডাকসুর ২৫টি পদে থাকা নেতারা। তবে সেখানে ভিপি নুরুল হক নুরের হিসাব শূন্য।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডাকসুর তহবিল থেকে ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা, সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৪ টাকা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন ছয় লাখ ৭১ হাজার ৯০০ টাকা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী সাত লাখ ৮২ হাজার ১২০ টাকা উত্তোলন করেন।
এছাড়া সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন চার লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান ৫৮ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করেন।
এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য মোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। যদিও সে সময় এই বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে অসামাঞ্জ্যের অভিযোগ উঠে। তথ্যমতে, বছরব্যাপী বিভিন্ন খরচের জন্য ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে বরাদ্দ দেয়া হয় ৫ লাখ টাকা; যেখানে জিএস গোলাম রাব্বানী পান ৫২ লাখ।
এছাড়া অন্যান্য খাতের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদককে ১০ লাখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদককে ১৫ লাখ, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদককে ১০ লাখ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদককে ১৫ লাখ, সাহিত্য সম্পাদককে ১৫ লাখ, সংস্কৃতি সম্পাদককে ১৫ লাখ, সমাজসেবা সম্পাদককে ১৩ লাখ, ক্রীড়া সম্পাদককে ২০ লাখ এবং ছাত্র পরিবহন সম্পাদককে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর বাইরেও ডাকসু কার্যালয় ব্যবস্থাপনা খাতে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।