হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যের মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে রাতভর নির্যাতনের শিকার হন মুকিম সহ ৪ জন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবি এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বেলা ১২ টা ৪৫ মিনিটে মানববন্ধন করেন সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য।
এসময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ভিপি নুরুল হক নুর।
নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনা কোন নতুন বিষয় নয়। এই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বুয়েটে হামলা করেছে, আমি ভিপি হওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আমি নিরাপদ নয়; ডাকসুতে আমার উপর আমার সহকর্মীদের উপর হামলা করেছে এই ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগ সরকারের পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়ে গেছে ছাত্রলীগের মদদদাতার ভূমিকায়।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ হলে হলে গেস্টরুম, গণরুম,নেতাকে প্রটোকল দেয়ার প্রোগ্রামের নাম করে যে দাসপ্রথা শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে সচেতনভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার অন্যথায় এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসমুক্ত, নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠন করা কখনো সম্ভব নয়।
ডাকসু ভিপি আরো বলেন, আমি আওয়ামী প্রশাসন এবং সরকারকে বলি ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরুন অন্যথায় আপনাদের গদি ছাড়ার কারণ হবে এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অসংখ্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই তদন্ত কমিটি গুলোর দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা কখনো দেখিনি। কোন নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে একটি তৎক্ষনাৎ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় যেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিশ্চুপ হয়ে যায়।এর পরে সেই তদন্ত কমিটির কোন কাজ আমরা দেখিনা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, "শিক্ষা, সন্ত্রাস একসাথে চলে না ' শিক্ষা, ছাত্রলীগ একসাথে চলে না ' জহু হলে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই ' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য যে, ৪ দফা দাবি নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য যে মানববন্ধন করেছে সেই দফা গুলো হলো :
* নির্লজ্জ, ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগ।
*হলে হলে গেস্টরুম, গণরুমের নামে যে নির্যাতন করা হয় তা বন্ধ করা এবং ১ম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের ব্যবস্থা করা।
*ডাকসু, জহুরুল হক হল সহ সমস্ত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করা।
*সকলের জন্য নিরাপদ, ভয়হীন ক্যাম্পাস গঠন করা।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন শেষ করে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করেন।
উক্ত মানববন্ধনে ১২ টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র ঐক্যের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।