ফের পেছালো ডাকসু হামলার তদন্ত প্রতিবেদন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পেছানো হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত পেছানো হল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান।
জানা যায়, ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপির কক্ষে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ২৩ ডিসেম্বর ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। কমিটিকে ছয় কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। ১ জানুয়ারি ওই ছয় কার্যদিবস শেষ হয়। তবে নির্ধারিত প্রথম তারিখে কমিটি প্রতিবেদন দিতে পারেনি। পরে আরও ১০ কার্যদিবস দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশের নির্ধারিত দিন ১৫ জানুয়ারিও কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে ফের সময় বাড়তি সময় চাইলে উপাচার্য আরও ১০ কার্যদিবস সময় দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তের কাজ শেষ না হওয়ায় সময় বাড়ানোর কথা বলেছি।’
দ্বিতীয়বার সময় বাড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভিপি নুর। হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত, তাই প্রশাসন কালক্ষেপণ করছে বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে নুর বলেন, ‘হামলার ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জড়িত। সেই কারণে হয়তো কমিটি প্রতিবেদন নিয়ে কালক্ষেপণ করছে। শেষে দায়সারা একটি প্রতিবেদন দিতেও পারে, আবার নাও দিতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন দলকানা। তারা লেজুড়বৃত্তিতে নিজেদের এতোটাই নিযুক্ত রেখেছে যে, ছাত্রলীগের কোনও অপকর্মের বিচার করতে পারে না তারা।’
এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক বলেন, আমরা এটি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে ভবনে হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রশাসন কালক্ষেপণ করবে। কারণ এর আগেও আমাদের উপর অনেকবার হামলা হয়েছে কিন্তু সেই হামলার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। হামলার ঘটনায় কারা নেতৃত্ব দিয়েছে এবং কারা জড়িত তা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে। তার পরও কালক্ষেপণ বিচার না পাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।