বিকেলে নিজ কক্ষের চাবি বুঝে পাচ্ছেন ডাকসু ভিপি নুর
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:২২ PM , আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:৪০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে হামলার ২২ দিন পর আজ নিজ কক্ষের চাবি বুঝে পাচ্ছেন ভিপি নুরুল হক নুর। আজ মঙ্গলবার তাকে চাবি নেয়ার জন্য ডাকা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। ডাকসু ভবনে হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন তাকে চাবি নেয়ার জন্য ডেকেছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিকেল ৪টায় দেলোয়ার স্যার আমাকে ডাকসুতে যেতে বলেছেন। বিকেল ৪টার দিকেই আমি যাব ডাকসুতে।’
ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলার পরেরদিনই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছয় কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও নতুন করে সময় বাড়িয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।
তদন্ত তদন্তের জন্য ডাকসু ভিপির কক্ষটি সিলগালা করে রাখা হয়। হামলার পর নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চেয়েও তা সম্ভব হয়নি বলে এর আগে জানান ডাকসু ভিপি নুরুল হক। তিনি গণমাধ্যম জানান, নিজ কক্ষে প্রবেশ করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি। শনিবার ক্যাম্পাসে গিয়েও নিজ কক্ষে ঢুকতে পারিনি। পরে অপেক্ষা করে চলে আসি।’
তদন্ত কমিটির আহবায়ক জানিয়েছিলেন, ‘তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। তদন্তের কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা ১০ কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে নিয়েছি। আজকেও ১২ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্ত চলমান। তদন্তের কাজ যদি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে পারি, তাহলে সময়মতো প্রতিবেদন দিয়ে দেবো। আর না হয়, সময় আরও বাড়িয়ে নেবো।’
সোমবার ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কক্ষটি সিলগালা থাকবে। কারণ কমিটি তদন্তের স্বার্থে যেকোনও সময় ওই কক্ষ ব্যবহার করতে পারেন।’
এদিকে উচ্চ আদালতের কোনও নির্দেশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কক্ষটি এতদিন সিলগালা করে রাখতে পারে না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন, ‘ভিপি একজন ছাত্রপ্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থেও তার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ তদন্তের নামে এতদিন তার কক্ষটি সিলগালা করে রাখতে পারে না। যদি আদালতের কোনও নির্দেশ থাকে, তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়।’
গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
ওই দিনের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহবায়ক ছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট সুপ্রিয়া সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট মো. মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাঈনুল করিম।