মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৪ নেতার আগাম জামিন মঞ্জুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) সংর্ঘষের ঘটনার দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের চার নেতা। হাইকোর্টের ডিভিশন ব্রাঞ্চের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ এবং বিচারক কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি এ এস এম আল- সনেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসীম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাহিম।
জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি এ এস এম আল- সনেট বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আমাদের আসামি করা হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সব সময় দেশের কল্যাণ চাই। সে অনুযায়ী আমরা আমাদের সংগঠনকে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালনা করে আসছি।’
এর আগে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা হলেন— মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্ত।
ডাকসুতে মারামারির ঘটনায় প্রথমে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় শাহবাগ থানায়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাাটি করে। দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৪২৭ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
ওই মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্ত নামে তিনজনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এএসএম সনেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, মাহবুব হাসান নিলয়। এছাড়া ৩০/৩৫ জনের অজ্ঞাত নামে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা হামলা চালালে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নুর এবং তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জন আহত হন।