ধর্ষণের স্পট চিহ্নিত, আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে: ঢাবি প্রক্টর
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। সোমবার ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, স্পট চিহ্নিত হয়েছে। এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার চুপ থাকবে, তা তো আশা করা যায় না। আন্দোলন হচ্ছে, হবেইতো। আলামতও সংগ্রহ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাবি ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমদ বলেন, যা হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। আমাদের আশাপাশে এমন বহু ঘটনা ঘটছে, যার বিচার দেখছি না। ‘তাই এটি মহামারী রূপ নিলো কিনা’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ওই ছাত্রীর পাশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই আছে, তাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক নাসরিন আহমদ।
এরআগে সকালে ঢাবি ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।
পরে ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানও ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসাসহ আইনানুগ সব ধরনের সহায়তা প্রদানে ঢাবি কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দেন। তিনি দোষীদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় এনে শাস্তিরও দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।