০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:১৮

ট্রমা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ঢাবির সেই ছাত্রী

  © সংগৃহীত

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই ছাত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি ট্রমা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ঢামেক পরিচালক বলেন, ‘মেয়েটির মেন্টালি ট্রমা ছাড়াও শারীরিক কিছু আঘাত রয়েছে। পাশাপাশি সে কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে এবং আমরাও কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এই অবস্থায় তার সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা তার জন্য অস্বস্তিকর। কেউ যেন আমরা তার কাছে না যাই।’

ধর্ষণের আলামতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়টি ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগ দেখছে। পাশাপাশি তাকে ঢামেকের নাক কান গলা বিভাগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তার যেহেতু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, সেজন্য রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগসহ আরও কিছু বিভাগের ডাক্তারদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এদিকে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ঢামেকের গাইনি বিভাগের প্রধান সালমা রউফকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাবির বাস থেকে নামার পর দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে তার ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজি যোগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছান। পরে রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারেভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ইতোমধ্যে ঢামেকে গিয়েছেন ঢাবির কয়েকজন শিক্ষক, ছাত্রলীগ ও ডাকসুর নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও প্রক্টোরিয়াল বোর্ডের সদস্যরা।

ধর্ষণের ঘটনায় রোববার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে গভীর রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সোমবার সকাল থেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনগুলো।