০৫ জানুয়ারি ২০২০, ২২:০০

ঢাবির ছাত্রী হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

  © টিডিসি ফটো

কর্মীদের মধ্যে শাড়ী বিতরণকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শাড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন কর্মীদের শাড়ি বিতরণ করছিলেন হলের সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাইয়ানসহ হল ছাত্রলীগের অন্যান্য নেত্রীরা। এসময় কর্মীদের মধ্য থেকে ৬ জন শাড়ি না পাওয়ায় তারা রুমে চলে গেলে হলের সহ-সভাপতি সালসাবিল রাবেয়া ৬টি শাড়ি সেখান থেকে নিয়ে ৬ জনের রুমে গিয়ে দিয়ে আসেন। সালসাবিল ৬টি শাড়ি কর্মীদের দেওয়ার কারণে ওই সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাইয়ান। সে সময় বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।

এদিকে রবিবার রাত আটটার দিকে সালসাবিল রুমে গিয়ে দেখেন তার রুমের সকল জিনিসপত্র বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে রাইয়ানের কর্মীরা। তিনি তার প্রতিবাদ করতে গেলে রওনক জাহান রাইয়ানসহ তার সমর্থকেরা তার ওপর তিন দফায় হামলা চালায়। এ সময় হলের হাউজ টিউটর ও হল সংসদের এক সম্পাদকের উপরও হামলার ঘটনা ঘটে। সালসাবিলকে হল থেকে মারতে মারতে হল গেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে হলের আরেক পক্ষের দাবি সালসাবিল আজকে আগে হামলা করেছে। সালসাবিলের হামলায় হলের পাপিয়া নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরপর হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সালসাবিলকে মারতে মারতে হল থেকে বের করে দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রওনক জাহান রাইয়ান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের অনুসারী ছিলেন। অন্যদিকে সালসাবিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

সংঘর্ষে আহত সালসাবিল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৬ জন মেয়ে শাড়ি পায়নি। পরে আমি ৬টি শাড়ি সংগ্রহ করে তাদের রুমে গিয়ে দিয়ে আসি। তাদের শাড়ি দেওয়ার কারণে সাধারণ সম্পাদক রাইয়ান আমার প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাত আটটার দিকে বাইরে থেকে হলে ফিরে এসে দেখি আমার রুমের সকল জিনিসপত্র বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি তার প্রতিবাদ করতে গেলে রাইয়ান ও তার কর্মীরা আমার উপর হামলা চালায়। তারা ডাকসুর অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া সম্পাদক শান্তা, ও হলের হাউস টিউটরকে মারধর করেছে।

এ বিষয়ে ফজিলাতুন্নেসা হল ছাত্রলীগের সভাপতি বেনজির হোসেন জানান, রিয়া আকতার শান্তা এবং সালসাবিল প্রথমে পাপিয়ার উপর হামলা চালায়। এতে হলের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সালসাবিলকে মারধর করে। বর্তমানে পরিস্থতি শান্ত রয়েছে। প্রক্টর স্যার বলেছেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রওনক জাহান রাইয়ানকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।