ডাকসুতে হামলা: এখনো কানে শুনতে পান না ফারুক

ফারুক হাসান
ফারুক হাসান  © টিডিসি ফটো

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভবনে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। তবে হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন ভিপি নুরসহ হামলায় আহত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

হামলায় ভিপি নুরসহ ৩৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনের হামলায় গুরুতর আহত হন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান। হামলায় ফারুক কানে গুরুতর আঘাত পান। তিনি এখনো ঠিকমতো কানে শুনতে পারেন না। গত ৩১ ডিসেম্বর নুর এবং ফারুককে ঢামেক থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা পুরোপুরি সুস্থ না হলেও আমাদের হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। এটি সরকারের বৈরী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ । হাসপাতালে আমাদের ভালভাবেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার পরও আমাদের রিলিজ দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার কানের এমআরআই পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে আমার মুখের একপাশে প্যারালাইজড ধরা পড়েছে। এখন আমাকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

এদিকে ডাকসু ভবনে হামলা-মামলার প্রতিবাদে আজও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য।’ দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কলা ভবন হয়ে রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত চারদফা দাবি পূরণের জন্য ঢাবি প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন ছাত্র ঐক্যের নেতারা। সমাবেশ শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— নূরুল হকসহ সকল শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও আইনানুগ বিচার করতে হবে; শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার দায়ে প্রক্টরকে অপসারণ করতে হবে; ডাকসুতে হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে, হামলায় আহতদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া হলে হলে দখলদারিত্ব, গেস্টরুম-গণরুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ