রোকেয়া হলে কর্মচারি নিয়োগে অনিয়ম পায়নি সিন্ডিকেট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলে কর্মচারি নিয়োগ নিয়ে ওঠা অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সিন্ডিকেট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোকেয়া হলে কর্মচারি নিয়োগে কোন অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ফেইসবুকে এ সংক্রান্ত যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল করা হয়েছে, তারও কোন সত্যতা মেলেনি। যাদের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়, তাদের কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র দিয়ে এতে আরো বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে, ফেইসবুক বা গণমাধ্যমে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সভায় আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামালকে আহ্বায়ক করে ৩-সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. লিটন কুমার সাহা কমিটির সদস্য-সচিব এবং রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক মিসেস মনিরা বেগম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে রোকেয়া হল সংসদ ও হল ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ২১ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, হল সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান তন্বী হলের কর্মচারী কামাল উদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামানকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আট লক্ষ টাকা, জিএস সায়মা আক্তার প্রমি হলের মালী বাবুল চৌহানের ছেলে পলাশ চৌহানকে বাগান মালী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা, রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আখতার এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশা মিলে আলমগীর নামের একজনকে প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আট লক্ষ টাকার লেনদেন করেন।
সে সময়ে তারা আরো অভিযোগ করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা এসব ঘটনা সম্পর্কে অবহিত এবং তিনি এই নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত আছেন।