দখলদারমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়বে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

বর্তমান সময়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ১২টি সক্রিয় ছাত্র সংগঠন। ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’র ব্যানারে এই জোটটি আত্মপ্রকাশ করেছে। শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন এই ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে জোটটি পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাও।

এসব সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মাক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, স্বতন্ত্র জোট ও ছাত্র গণমঞ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আখতার হোসেন বলেন, সন্ত্রাস ও দখদারিত্ব জারি রেখে ক্যাম্পাসগুলোকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। প্রশাসন এই সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে এর বৈধ্যতা দিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। শিক্ষাঙ্গনের এমন দমবদ্ধ ও অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে বাধা প্রদান করছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভূলন্ঠিত করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’ গঠন করেছি।

তিনি বলেন, ডাকসু ভিপি নুরের উপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ভিপিকে রক্ষা না করে তিনি সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছেন। তিনি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে সম্পন্ন ব্যর্থ। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি লাগানো হয়েছে অথচ সেই সিসি টিভির ফুটেজ তিনি রক্ষা করতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

ঘোষিত প্লাটফর্মে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অংশ নিতে চাইলে তাদেরকে নিবেন কিনা?-এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ছাত্রদল ছাত্রলীগের মত তখন দেশ জুড়ে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত করত। দুইটি সংগঠনই একে অপরের পরিপূরক। আমরা বলতে চাই আমাদের প্লাটফর্ম কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে চারদফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হল-ভিপি নুরুল হক নুরসহ সব শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনানুগ বিচার, ব্যর্থতার দায়ে ঢাবি প্রক্টরের অপসারণ, ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনের বহন এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হলে হলে দখলদারিত্ব ও গেস্টরুম-গণরুম নির্যাতন বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, ছাত্র ফেডারেশ ঢাবির সভাপতি আবু রায়হান খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, ঢাবির শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি তাসনিম আফরোজ ইমি প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ