২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২৭

নুরের নিরাপত্তা চেয়ে সচিব, ভিসি ও প্রক্টরকে নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরের জীবনের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

সাত দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

নোটিশে তিনি বলেন, ডাকসু ভিপির উপর হামলার ঘটনায় প্রত্যেকই উদ্বিগ্ন। এখন অবিলম্বে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। সবার জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কর্তব্য। ভিপি নুর কেবলমাত্র রাষ্ট্রের একজন নাগরিকই নয়, সে একটি প্রতিষ্ঠান। সে সাধারন ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। বারবার সেই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্র তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মামলা ডিবিতে: এদিকে ভিপি)নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। শাহবাগ থানায় দায়েরকৃত মামলাটির কার্যক্রম এখন থেকে ডিবি পরিচালনা করবে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানা পুলিশের এসআই শরিফুল ইসলাম। গত সোমবার শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে ভিপি নুরও পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এফ রহমান হল শাখা সভাপতি ইমরান সরকার, কবি জসীম উদদীন হলের সভাপতি ইয়াদ আল রিয়াদ এবং মাহবুব হাসান নিলয়।

আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশের রিমান্ডে আছেন। ভিপি নুর তার অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্ত্র দাস, সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ ৩৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার ভিপি নুর ও সহযোগীদেরকে ডাকসু কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জন আহত হন। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়।