২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:১৪

নুরদের চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড

  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও অন্য আহতদের চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই বোর্ড গঠন করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাসির উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রাজিউল হককে। এ ছাড়া অর্থোপেডিক, নাক-কান-গলা (ইএনটি), অ্যানেস্থেশিয়া, নেফ্রোলজিসহ আরও ৮টি বিভাগের ৮ জন চিকিৎসককে নিয়ে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বৈঠকে বসবে এই বোর্ড। আহতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর কাকে কী চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং কাকে ছেড়ে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এরআগে গতকাল রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী নুরুলসহ আহত ছাত্রদের ডাকসু ভবন থেকে উদ্ধার করে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবী কয়েক দফা মারধরের শিকার হন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার সময় হামলাকারীরা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সুহেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া হামলায় আহত নুরুলের ভাই আমিনুর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই দফায় নুরুল হক ও তাঁর সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাঁদের পেটান। এরপর সনজীত ও সাদ্দাম ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।