ডাকসু ভবনজুড়ে ক্ষত চিহ্ন, ফাঁকা মধুর ক্যান্টিন (ভিডিও)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালানো হয় গতকাল দুপুরে। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন। শুধু তাদের ওপরই নয়, ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় ডাকসু ভবনেও।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডাকসু ভবনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সামনের দিকের অধিকাংশ কাঁচের জানালা ভাঙ্গা। কিছু টুকরো এখনো এদিক-ওদিকে পড়ে আছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ ছিলো ডাকসু ভবন।
পরে তালা খুললে ভেতরে গিয়েও একই অবস্থা দেখা যায়। ভিপির কক্ষ তালাবদ্ধ রয়েছে। তবে জানালায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। কাঁচগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভেতরে লাইট জ্বালানো ও ফ্যান চললেও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ।
জানা গেছে, গতকাল ঘটনার পরই ওই রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। চাবি রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর নিকট। সকাল থেকেই ফাঁকা রয়েছে মধুর ক্যান্টিনও। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফারাবী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ফারাবীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে ডাকসুর ভিপি নুরুল হকের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজকক্ষে নুরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের মধ্যে রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এ ঘটনায় হামলার কথা অস্বীকার করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ডাকসু ভিপি নুরুল হকের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের মধ্যকার ধারাবাহিক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।