দেশসেরা ‘ক্যাম্পাস স্টার’ ঢাবির নিশি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:০৭ PM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৯ PM
‘আরটিভি ডাবর ভাটিকা ক্যাম্পাস স্টার সিজন টু’তে দেশসেরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইন্দ্রাণী দাশ নিশি।
সম্প্রতি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালেতে নিশির মাথায় চ্যাম্পিয়নের মুকুট ওঠে। এ সময় প্রথম পুরস্কারের অংশ হিসেবে তার হাতে তিন লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।
এবার প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী উম্মে হাবিবা বর্ষা এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সরূপি সায়লা বীথি।
তবে চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন আট প্রতিযোগী। পাশাপাশি ছিল তাদের মনোজ্ঞ পরিবেশনা। এই আটজন থেকে মূল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথম হন নিশি।
আয়োজকরা জানান, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে থাকা মেধাবী ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছাত্রীদের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে দিতেই ক্যাম্পাস স্টার-এর এই আয়োজন।
বিচারকদের চুলচেরা বিশ্লেষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইন্দ্রাণী দাশ নিশির মাথায় উঠে বিজয়ীর মুকুট।
ফাস্ট রানার্সআপ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে উম্মে হাবিবা বর্ষা পান দুই লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানার্সআপ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সরূপি সায়লা বীথি পান এক লাখ টাকা।
এবার বেস্ট স্মাইল পুরস্কার পান রুমানা রওশন, বেস্ট স্কিন দেবস্রি অন্তরা রায় চৌধুরী ও বেস্ট হেয়ার অনামিকা পিউ। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।
ক্যাম্পাস স্টার টু বিজয়ী ইন্দ্রাণী দাশ নিশি ডাবর ভাটিকার বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া, চ্যাম্পিয়ন, ফার্স্ট ও সেকেন্ড রানার আপ আরটিভির বিভিন্ন নাটক ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করবেন।
এর আগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের মধ্যে থেকে নাচ, গান, অভিনয়সহ নানা ক্ষেত্রে পারদর্শী সেরা প্রতিভাবানকে খুঁজে বের করতে দ্বিতীয়বারের মতো ‘আরটিভি ডাবর ভাটিকা ক্যাম্পাস স্টার সিজন টু আয়োজন করা হয়। এতে দেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় হাজার শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। অডিশনের মাধ্যমে এদের মধ্যে থেকে সেরা ৬০ জনকে নিয়ে শুরু হয় মূল পর্ব। দক্ষতা ও মেধার বিচারে গ্র্যান্ড ফিনালেতে জায়গা করে নেন সেরা আট জন।
গ্র্যান্ড ফিনালের জমকালো আয়োজন জুড়ে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মনোজ্ঞ পরিবেশনা দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। এর মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করার স্বতন্ত্র্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন প্রতিযোগীরা।