৫ লাখের এক টাকাও খরচ করেননি নুর, যা বললেন ভিপি (ভিডিও)
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫০ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের জন্য প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার এক টাকাও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন নুর। রোববার ডাকসুর সভাকক্ষে জিএস গোলাম রাব্বানীর তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, ডাকসুতে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে, আমি এক টাকাও খরচ করিনি গোলাম রাব্বানীর এমন অভিযোগ সত্য না। সত্য হচ্ছে আমাকে নামমাত্র ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকার এক টাকাও হাতে পাইনি। আমি ছোট ছোট তিনটি বাজেট করেছিলাম। কিন্তু টাকার অভাবে সেগুলোও করা হয়নি।
হল থেকে অবৈধদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন জানিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, আমরা যখন হল থেকে অছাত্র-বহিরাগত বিতাড়ন শুরু করলাম, তখন প্রথম এসএম হলে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছি। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই হামলার বিচার পর্যন্ত করেনি। হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত থাকায় বিচার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিজয় একাত্তর হলে গণরুমের ছাত্রদের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেছে, গালিগালাজ করেছে। পরে সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের যে ২৩ জন নির্বাচিত হয়েছে, তারা কখনও সাধারণ ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেনি। কখনও হলের সিট সমস্যা নিয়ে কথা বলেনি। আমিই প্রথম সিট সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি।
ক্ষমতাসীনরা সবসময় ডাকসুকে ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চেয়েছে জানিয়ে নুর বলেন, ডাকসুর প্রোগামের ব্যানারে ভিপির নাম থাকে না গেস্ট হিসেবে। সেখানে নাম থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতির, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতির।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়ে ডাকসু জিএস লজ্জায় এতদিন ডাকসুতে আসেননি। রাতের অন্ধকারে দু-একদিন এসেছেন। আজ এসেছে। তারা ভেবেছে ভিপিকে ঠেকাতে ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছাত্রলীগের মধ্যে তো বিভেদ রাখা যাবে না। তখন তারা ঘর থেকে জিএসকেও নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
ভিপি নুর বলেন, আমরা এখনও স্পষ্ট করে বলছি- কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে ডাকসু ভিপি বিন্দুমাত্র অনৈতিক লেনদেন করেছে, অবৈধ লেনদেন করেছে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছে- তাদের এই প্রশ্ন তোলার আগেই প্রমাণটা গণমাধ্যমে উপস্থাপন করলেই ডাকসু ভিপি পদত্যাগ করবে। ছাত্রলীগের কথায় ডাকসু ভিপি পদত্যাগ করবে না বা ছাত্রলীগের কথা কর্ণপাত করবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে সারা দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েমের জন্য ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশকে একটা নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ডাকসুতেও তারা দখলদারি পরিবেশ কায়েম করতে চায়। তারা চায় ডাকসুতে ছাত্রলীগের বাইরে যেন কেউ না থাকে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ডাকসুর ভিপি পদটি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে। কারণ সারা দেশে ছাত্রলীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দল, সংগঠন কথা বলে না। একমাত্র ভিপির নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়। এর একটা প্রভাব সারা দেশের ছাত্রসমাজের মধ্যে রয়েছে।