সিঁড়িতেই ক্লাস নেবেন সেই ঢাবি শিক্ষক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যায়িত করে আদালতের দেয়া রায়ের পরেও ক্লাসে ফিরতে পারছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী। তবে ক্লাসে ফিরতে না পারলেও এবার সিঁড়িতেই ক্লাস নেবেন এই শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিঁড়িতে তিনি এই ক্লাস নেবেন।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে এক ইভেন্ট পোস্টে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ক্লাসে ফিরতে না পারলেও ক্লাসের বাইরে সিঁড়িতে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। উদ্যোগী ছাত্রদের অনেক ধন্যবাদ।
‘এই গল্পটা আগেও বলেছি আবারো বলছি। ফেইসবুকে একটা মিম দেখেছিলাম যেখানে হুডি পরা এক লোক বেশ ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার নাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। একজন এসে তার হুডি তুলে দেখে ভেতরে আসলে লেখাঃ স্ট্যাটিস্টিক্স।’
‘এই যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যেটা ঘটছে ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ঘিরে, তার মূলে কিন্তু এই পরিসংখ্যান। অথচ এই পরিসংখ্যান আমাদের বেশীরভাগের কাছে বেশ বিরক্তিকর একটা বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আমার চেষ্টা থাকবে একটা ভিন্ন এপ্রোচ নেয়ার। দেখা যাক। সকলে আমন্ত্রিত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. রুশাদ ফরিদি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রতিবাদ স্বরূপ হলেও সিরিয়াস ক্লাস নেওয়া হবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি প্রতিবাদ স্বরূপ।” ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, পরিসংখ্যান বিষয়ের এ ক্লাস দুপুর ১২টায় শুরু হবে। প্রায় ৪০ মিনিটের মতো তা স্থায়ী হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর এক সপ্তাহ পর ১৯ জুলাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন তিনি। চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বাধ্যতামূলক ছুটির বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও বিভাগে ফিরতে না পেরে গত চার দিন থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এই শিক্ষক। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই এবার সিঁড়িতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।