প্রশাসনের ধূর্ততা আর ডাকসুর ব্যর্থতায় সমাধান হয়নি সাত কলেজ সংকট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ সংকটের কার্যকরী কোন সমাধান না হওয়া নিয়ে সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল আন্দোলনের মুখপাত্র মো. শাকিল মিয়া জানিয়েছে, ঢাবি প্রশাসনের ধূর্ততার আর ডাকসুর ব্যর্থতায় সাত কলেজ সংকটের সমাধান হয়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাকিল জানান, ‘‘সাত কলেজ সংকট সমাধানে শিক্ষার্থী ভাইবোনেরা ভবনগুলোতে তালা পর্যন্ত লাগায়। বৃষ্টিতে ভিজে, প্রচন্ড রোদের মধ্যে আন্দোলন করেছিলো কারণ তারা বুঝতে পেরেছিলো এ আন্দোলন কারো একার না, এ আন্দোলন সবার। সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানের অবনতি, নামেমাত্র সার্টিফিকেট প্রদান (শুধুমাত্র সার্টিফিকেট প্রদান করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হতে পারে না), শিক্ষার নামে বাণিজ্য, শিক্ষক অপ্রতুলতা, গবেষণা ইত্যাদি নানা কারণে সাত কলেজ সংকট সমাধান চেয়েছিলাম।
দাবি যখন প্রচন্ড আন্দোলনে রূপ নেয় তখনই প্রশাসন ছলনার আশ্রয় নিয়ে আন্দোলন দমিয়ে দেয়।
প্রশাসন বরাবরের মতো এবারো কলা দেখিয়েছে আমাদের। আন্দোলন যখন তুঙ্গে, প্রশাসন একদিকে পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে দিলো আরেকদিকে একটা প্রহসনের কমিটি করলো।
কমিটির কাজ কি ছিলো?
কমিটি দ্রুত সুপারিশ প্রণয়ন করে ভিসি বরাবর দাখিল করবে আর তার ভিত্তিতে মাননীয় ভিসি বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নেবেন। অথচ এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত কি নিলেন তা তো দূরের কথা সুপারিশ গুলো কি কি তাও জানলাম না আমরা।
এদিকে এসব আন্দোলন করার কারণে পরিবার একটু দুশ্চিন্তা করে কখন কি হয় না হয়। পৃথিবীর সব মা-বাবা'ই সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তা করে এটাই স্বাভাবিক।
কিছু শিক্ষক কতো কিছুই বলেছেন তার ইয়ত্তা নেই। একজন তো বলেছিলেন আমার নামে নাকি মামলা করবে অথচ আমার অপরাধ এটা যে আমি সকলের দাবী বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলাম। শিক্ষক হয়ে তার ছাত্রকে একথা বলতে একবারও ভেবেছিলো কি'না তা জানি না। এমন শিক্ষকও আছে যে কিনা ক্লাসে রীতিমতো প্রচন্ড অপমান করেছেন। নাম বলতে চাই না মহান শিক্ষকদের! (সব কথা হয়তো ভালোর জন্যে বলেছেন তারা)
আর অকার্যকর ডাকসু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানালেও কার্যত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছিলো। জিএস তো বলেছিলেন আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই সমাধান করবেন না হয় নিজেই স্লোগান ধরবেন। পরে দেখলাম তারই নেতৃত্বে ভিসি কার্যালয় গেটে অবস্থানরত বোনদের সাথে তাদের ন্যক্কারজনক আচরণ ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদকের উপর হামলা!
অপরদিকে এজিএস পিসফুল ডিভোর্সের কথা বলে ভালো সাড়া জাগিয়েছিলেন। কোথায় গেলো তাদের এসব কথার ফুলঝুরি? দাবী বাস্তবায়ন করতে কারো কোন মাথাব্যথা আছে? সংকট সমাধান হয় নি এটা প্রশাসনের ধূর্ততা আর ডাকসুর ব্যর্থতা।’’
এদিকে বেশ কয়েকদিন থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করলেও কার্যত কোন ফল আসেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।