২৪ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২১

বিশ্বসেরা র‌্যাংকিংয়ে ঢাবি ‘১০০১ প্লাস’, নেই আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়

  © ফাইল ফটো

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ৯২টি দেশে জরিপ চালিয়ে করা এক র‍্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। লন্ডনভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন’র প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। 

তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও বাংলাদেশের মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে এক হাজার ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাবির অব্স্থান এক হাজারেরও পর।

গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানের ১১০টি, চীনের ৭০টি, তুরস্কের ৩৬টি, ভারতের ৩৬টি, ইরানের ২৪টি, মালয়েশিয়ার ১০টি, পাকিস্তানের সাতটি, সৌদি আরবের সাতটি, সিঙ্গাপুরের দুটি, শ্রীলঙ্কার দুটি, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের একটি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে।

তালিকায় প্রথমে রয়েছে যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এরপর রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথাক্রমে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ইয়েলে ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন।

র‍্যাংকিংয়ের ক্রম এক হাজার পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম ক্রমান্বয়ে উল্লেখ করা হলেও স্বতন্ত্র অবস্থান বলা হয়নি। এক হাজারের পর সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০১+ দেখানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ র‌্যাংকিং দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

প্রতিবছরই টাইমস হায়ার এডুকেশন এই র‍্যাংকিং হালনাগাদ করে থাকে। র‍্যাংকিং তৈরির মানদণ্ড হিসেবে পাঠদান, গবেষণা, গবেষণার উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও গবেষণার আদান প্রদান ধরা হয়।

এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলা হয়, ১৯২১ সালে ঢাবির দ্বার উন্মোচিত হয়। প্রথম উপাচার্য ছিলেন স্যার পি. জে. হার্টস। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি ফ্যাকাল্টি রয়েছে। এছাড়া ৭১টি ডিপার্টমেন্ট, ১৭টি ডরমিটরি, তিনটি হোস্টেল এবং ৩৮টিরও বেশি রিসার্চ সেন্টার রয়েছে।

বর্তমানে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখানকার ছাত্র ছিলেন। অ্যালামনাইদের তালিকায় বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পী, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদেরও নাম রয়েছে।