‘খ’ ইউনিটে ১২৮তম কাউসারের বিরুদ্ধে ৬ মামলা, বাদী একজনই!
কাওসার আমার ছাত্র। অসম্ভব পরিশ্রমী একজন মানুষ। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ, ঢাকা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ক্যালিবার সম্পর্কে আমি জানি। আমার বিশ্বাস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সে প্রথম দিকে থাকবে। হয়েছেও তাই।
কিন্তু সেগুলো বলা উদ্দেশ্য না। সে উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থায় তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। সে থাকে নারায়ণগঞ্জ, মামলা হয় তার এলাকা পটুয়াখালীর গলাচিপায়। মামলার বিষয় চুরি, ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি ইত্যাদি। সবগুলো মামলা এমনিতেই খারিজ হয়ে যায়।
ঐ এলাকার সার্কেল এএসপির সাথে আমিও একবার কথা বলেছিলাম। তার বিরুদ্ধে ছয় নাম্বার মামলাটা করা হয় ভর্তি পরীক্ষার কিছুদিন আগে। গাছকাটা মামলা। সে নাকি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বাদ দিয়ে আরেকজনের বাড়ির গাছ কাটতে গিয়েছিল।
ভর্তি পরীক্ষার আগে একবার এসে বলল, স্যার এক মামলার হাজিরা দিতে হবে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সব মামলার বাদী একই ব্যক্তি। কখনো নিজে মামলা করেছেন, কখনো অন্য কারো মামলায় আসামী হিসেবে তার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেন?
পারিবারিক বিরোধ নেই, জায়গা-জমি সংক্রান্ত ঝামেলা নেই। থাকলেও সে নিশ্চেই এগুলোর সাথে জড়িত না। সে মামলার আসামী হবে কেন? উদ্দেশ্য একটাই, সে যেন দাড়াঁতে না পারে। মাতবরী চলে যেতে পারে এ আশংকায় হয়তো।
বিষয়গুলো জেনে আমি খুবই অবাক হয়েছি। একজন মানুষ কতটা অমানুষ হলে একটা বাচ্চা ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য এভাবে পিছনে লাগতে পারে। ভর্তি পরীক্ষার আছে মাত্র বিশ-পঁচিশ দিন, তখনও তার মাথায় মামলার হাজিরার চিন্তা, আমি নিজেও খুব চিন্তিত ছিলাম।
যাক আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে সব বাধা অতিক্রম করে কাওসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হতে যাচ্ছে। তার প্রতি দোয়া ও অভিনন্দন। মনিরসহ আরো যারা চান্স পেয়েছে সবাইকে অভিনন্দন।
লেখক: ৩১তম বিসিএস ক্যাডার এবং সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফেসবুক থেকে নেওয়া