২৬ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৩

আমেরিকাতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়ার সুযোগ

  © টিডিসি ফটো

আর একমাস পর থেকেই আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদন করা শুরু হবে। প্রতি বছর এই সময়ে বিভিন্ন জনকে ফোন করে আবেদন করার জন্য বলি। এইবার ব্যস্ত থাকার কারণে, সবাইকে এক সাথে বলার জন্য এই লেখা। যেহেতু আমার ফেইসবুক বন্ধুদের মধ্যে বেশিরভাগ পেশাদার সাংবাদিক, তাদের জন্যই বলি। এই মুহূর্তে আমেরিকাতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়ালেখা করছে এমন ১৩ জনের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে, নিজের ও তাদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তিকরে এই লেখা।

কথা বলার সময়ে যে বিষয়গুলো সবচাইতে বেশি জানতে চান সেগুলোর উত্তর:

  • পড়ার খরচ কত?: বছরে গড়ে আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকা, তবে আমার জানা মতে কেউ নিজের টাকায় এখানে পড়তে আসেনি। সবাই স্কলারশিপ নিয়ে এসেছে। ফলে টিউশন ফি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই।

  • পড়তে গেলে সংসার চলবে কিভাবে?: থাকা খাবার জন্য ইউনিভার্সিটিগুলো এখানে এসিস্টেন্টশিপ/স্কলারশিপ বাবদ যে টাকা দেয় সেটার পরিমান ঢাকায় অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুসারে গ্রেড ওয়ান এর রিপোর্টারদের চাইতে অনেক অনেক বেশি। সেই টাকায় তিনজনের সংসার (একটা গাড়ি মেইনটেইন, দুইরূমের বাসা, বাসায় রান্না করে খাওয়া) চলে যাবে।

  • কি লাগবে স্কলারশিপ পেতে?: GRE আর IELTS । পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য GRE স্কোর কম হলেই হবে। আপনার প্রোফাইল খুব ভালো হলে, GRE ছাড়াও এডমিশন ও ফান্ডিং হতে পারে।

  • পার্টটাইম বা ক্যাম্পাস এর বাইরে কাজ করা যাবে?: না। আপনি একাডেমিক চাপে বাইরে কাজ করার চিন্তা করারও সুযোগ পাবেন না।

  • পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য: আমার কাছে মনে হয়েছে, অভিজ্ঞতা আছে এমন সাংবাদিকদের এডমিশন দেয়ার জন্য এখানকার প্রফেসররা সকল ছাড় দিতে প্রস্তুত। আপনি কবে পাস করেছেন, কোন বিষয়ে পড়েছেন, গ্রেড কত পেয়েছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যায় নাকি, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি কিসুই দেখে না।

আমার ডিপার্টমেন্ট-এর ভর্তি কমিটির প্রধান বলেছিলো, তাদের প্রথম টার্গেটহলো ক্লাস রুম এ ডাইভারসিটি আনা। এই জন্য অনেক সময়ে আমাদের চাইতে অনেক বেশি যোগ্যতা থাকার পরও আমেরিকানরা স্কলারশিপ পাইনা কিন্তু বিদেশিরা পায়। আর অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেয়ার কারণ হলো তারা, এই অভিজ্ঞতাকে ক্লাস রুম এ কাজে লাগাতে চাই।

লেখক:

সাবেক সাধারণ সম্পাদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।