২৫ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩৪

ঢাবিতে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত মাহমুদার

  © টিডিসি ফটো

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেও শুধু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না মেধাবী শিক্ষার্থী মাহমুদা খাতুন। মাহমুদার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। মাধ্যমিক  ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করা মাহমুদার উচ্চশিক্ষার অভিযাত্রা থমকে আছে অর্থাভাবের কারণে। পরিবারের অস্বচ্ছলতা বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তার পরিবার।

জানাগেছে, মেধাবী ছাত্রী মাহমুদা খাতুন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ৩৫৯তম হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খরচ যোগাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকার ব্যবস্থা করতে পারছেন, না তার মা-বাবা। সংসারের তিন ভাই-বোনের মাহমুদার বাবা একজন দিনমজুর। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির কোচিং বিহীন নিজে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়েছে।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে মাহমুদা তার শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছে। এসএসসি ও এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আছেন মেধা তালিকার শুরুর দিকে। কিন্তু দিনমজুর বাবার স্বল্প আয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা তার জন্য যেন জীবনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা হলে মাহমুদা বলেন, আমার বাবা একজন দিন মজুর। পরিবাবে উপার্জন করার মত বাবা ছাড়া কেউ নেই। বাবা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। আমি নিজে নিজে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি। এখন অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আনুষঙ্গিক প্রয়োজন পূরণে মাহমুদার ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লাগবে। তার বাবা তার ভর্তির খরচ জোগাতে না পেরে সমাজের যারা বিত্তবান রয়েছেন তাদের সাহায্য চেয়েছেন। তাকে কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে এই নাম্বারে ০১৭৯২-৩৫৮৫৫৫ (মাহমুদা খাতুন) যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তার পরিবার।