১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৪৪

রাব্বানীর ‘নিয়ম বহির্ভূত’ এমফিল ভর্তির নিন্দা সাদা দলের

  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের এমফিল কোর্সে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এভাবে ভর্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাদা দলের শিক্ষকরা।

আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানায় সাদা দল। এতে তার ভর্তি বাতিল এবং একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবিও জানিয়েছে দলটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৫ অক্টোবর তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বর্তমান জিএস-এর নিয়ম বহির্ভূতভাবে এম.ফিল কোর্সে ভর্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ সংবাদটি জেনে আমরা ক্ষুব্ধ। বিধি বহির্র্ভূতভাবে এ ভর্তি প্রক্রিয়ার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

আরও বলা হয়, ‘গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনকে বিশেষ সুবিধা দানের উদ্দেশ্যে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ব্যাংকিং বিভাগের অধীন পরিচালিত ‘মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে’ ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তির প্রতিকার না হতেই ডাকসুর নির্বাচিত জিএস-এর অপরাধ বিজ্ঞান বিষয়ে এম.ফিল ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের কথা প্রকাশিত হলো। আমরা মনে করি, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনামের জন্য অত্যন্ত হানিকর একটি ঘটনা।’

শিক্ষকেরা বলেন, ‘সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। কিন্তু আজ এ ঐতিহ্যটিও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করে আসছি। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৪ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন, উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেও আমরা এর কোনো প্রতিকার পাইনি।’

আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে সম্প্রতি আমাদের বক্তব্য ও অবস্থান তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের কাছে আমরা খোলা চিঠিও প্রদান করেছি। আর এরই মধ্যে আমরা ডাকসু’র বর্তমান জিএস এর বিধি বহির্ভূতভাবে এমফিল ভর্তির সংবাদ জেনে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। আমরা আবারও এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র গোলাম রাব্বানী অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগে নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে এম ফিল কোর্সে ভর্তি হন। গোলাম রাব্বানী এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে জিএস পদে জয়ী হন।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা পরীক্ষা ছাড়াই ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন। তাঁদের মধ্যে সাতজন ডাকসুতে এবং একজন হল সংসদে জয়ী হন।