ঢাবিতে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়ার
অটোরিকশা চালম বাবার কষ্টে আয় করা টাকা আর শিক্ষকদের সহায়তায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন সুমাইয়া আক্তার। চান্স পেয়েছেন স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। তবে টাকার অভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অশ্রুসিক্ত চোখে মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়ার বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে মেয়ে। কিন্তু অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই আমি। কিভাবে মেয়ের ভর্তির টাকা জোগাড় করব বুঝতে পারছি না। কিভাবে তার পড়ালেখার খরচ জোগাব, তাও ভেবে পাচ্ছি না।’
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের ঘোড়াঘাট মহল্লায় বাড়ি সুমাইয়া আক্তারের। সুমাইয়া আক্তারের বাবা আব্দুল আলিম শারীরিক অসুস্থ হলেও সংসারের তাগিদে বাধ্য হয়ে অটোরিকশা চালান।
তিনি বলেন, সম্পদ বলতে বাড়ি ছাড়া কিছু নেই। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে, দুজনেই মেধাবী। অর্থের অভাবে ছেলেকে ভালো জায়গায় পড়াশোনা করাতে পারেননি। ছেলেটি একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করে। দুজনের আয়ে কোনোমতে সংসার চলে। সুমাইয়া ২০১৭ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৪.৭৩ এবং ২০১৯ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান।
মা-বাবা, ভাই ও ভাবির সঙ্গে তাকেন সুমাইয়া। নিজের কোনো পড়ার ঘর নেই। শোবার ঘরে খাটের ওপর বসে পড়ালেখা করেন। ঢাবিতে ভর্তি অনিশ্চয়তার নিয়ে সুমাইয়া বলেন, ‘বাবার পক্ষে ভর্তির জন্য টাকা জোগাড় সম্ভব নয়। বাবা, ভাই ও শিক্ষকরা যে অর্থ দিয়েছিলেন, তা ভর্তি পরীক্ষার ফরম আর ঢাকায় যাওয়া-আসার খরচ মেটাতে শেষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন মনে হয় পূরণ হবে না।’
সুমাইয়া আরো বলেন, ‘কখনো গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে পারেননি। নিজের চেষ্টায় এত দূর এসেছেন। কলেজের শিক্ষক অমিত কুমার ও প্রতিবেশী শিক্ষক মোছাদ্দেক হোসেন অর্থ ছাড়াই পড়িয়ে সহযোগিতা করতেন।’
সাহায্য পাঠানো কিংবা অন্য যে কোনো বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারে- 01937265239 ফাহাদ আহমেদ রাজা, সুমাইয়ার ভাই। নাম্বারটিতে বিকাশ ও রকেট অ্যাকাউন্ট খোলা আছে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন রাজা।