০৩ অক্টোবর ২০১৯, ১১:২৩

অনিয়মের অভিযোগে লেদার ইনস্টিটিউটের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনমাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভূক্তভোগী একজন প্রার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন এবং বিচারপতি সরদার মোঃ রাশেদ জাহাঙ্গীর এ আদেশ দেন।

রিটকারী প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘অনেক অযোগ্য প্রার্থীকে শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও সাক্ষাৎকার কার্ড পেয়েছেন। অথচ আমি শর্ত পূরণ করলেও কার্ড দেওয়া হয়নি। আমার প্রতি অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। এ কারণে আদালতে গিয়েছি। আদালতে যে সিদ্ধান্ত হয়, তা আমি মেনে নেব।’

জানা গেছে, ইনস্টিটিউটের গণিত বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক পদের নিয়োগের জন্য শর্ত পূরণ করলেও কয়েকজন প্রার্থী সাক্ষাৎকারের কার্ড পাননি। কার্ড চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের কাছে লিখিত চিঠি দিলেও প্রতিকার পাননি। ফলে আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছেন তারা।

প্রার্থীরা জানিয়েছেন, আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রথম শ্রেণী এবং অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ স্বীকৃত গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ থাকতে হবে। পিএইচডি ডিগ্রী থাকলে শর্ত শিথিলের কথাও বলা হয়।

সে অনুযায়ী গণিতের সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদন করেন পিএইচডি ডিগ্রীধারী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। তিনি এসএসসি, এইচএসসি ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী অর্জন করেছেন। অনার্সে তিনি দ্বিতীয় বিভাগপ্রাপ্ত। তার অভিযোগ, পিএইচডি ডিগ্রী থাকায় শর্ত অনুযায়ী তিনি আবেদনের যোগ্য।

এছাড়া গত জুলাইয়ে ইনস্টিটিউটের ৩০তম সিএন্ডডি কমিটির সভায় ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে চূড়ান্ত নিয়োগ সাক্ষাৎকারের জন্য সুপারিশ করা হয়। পরে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদের অনুমতির জন্য প্রেরণ করা হলে তিনি কার্ড আটকে দেন বলে প্রার্থীদের অভিযোগ।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. সৈয়দ শামসুদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা এখনো হাইকোর্টের রায়ের কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। সেজন্য কোনো বক্তব্য দিতে রাজি নই। কাগজপত্র পেলে আপনারা যোগাযোগ করবেন।’