ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (ইশা)। বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভস্কর্যে ‘মুক্তমনা শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র ডাকসুর ২৮ বছর নির্বাচন ছিল না। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হতো, কর্মচারী সমিতির নির্বাচন হতো কিন্তু ডাকসুর নির্বাচন হতো না। একটি পক্ষ ইচ্ছা করে ডাকসুর নির্বাচনকে ২৮ বছর হতে দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘যখন ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আলো জ্বলে উঠলো তখন আমরা কি দেখতে পেলাম, আমরা দেখতে পেলাম ডাকসুর অনৈতিকতা। তারা হলগুলোতে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। একটি সংগঠন ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করেছে। অবৈধভাবে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। আমরা বলেছিলাম নদীতে যখন পানি আছে একদিন নৌকার ভরাডুবি হবেই। ডাকসু নির্বাচন যখন শুরু হয়েছে একদিন না একদিন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন পাবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডাকসুর কাজ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান করা। কিন্তু তারা বলল গেস্টরুম, নাকি ম্যানার শিখানোর জায়গা। আপনারা বলেন প্রগতিশীল। কিন্তু আপনারা আচরণ করছেন প্রতিক্রিয়াশীল। আপনারা একটি আদর্শকে নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, একটি আদর্শকে নিষিদ্ধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনদিন গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস থাকবে না। প্রগতিশীল কম্পাস থাকবে না। মুক্তচিন্তা অভয়ারণ্য থাকবে না।’
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন যদি হয়ে থাকেন, তাহলে কোন সংগঠনকে নিষেধাজ্ঞা নয়। আদর্শিকভাবে প্রতিহত করেন। যদি আদর্শিকভাবে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডাকসু থেকে পদত্যাগ করুন।’
এসময় তারা, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘ইসলামী রাজনীতি চলবে, ডাকসু তুই বলার কে’, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে’, ‘গণতান্ত্রিক দাবিতে ইসলামী রাজনীতি চলবে’, ‘বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মানি না মানবো না’, ‘ইসলামী রাজনীতি চলছে চলব ‘ বলে স্লোগান দেন।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টম্বর ডাকসুর সভায় ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তকে এখতিয়ার বহির্ভূত, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা এ বিক্ষোভের ডাক দেন।