ঢাবির গণরুমে বসবে দ্বিতল শয্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমগুলোকে ‘বন্ধুরুম’ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে গণরুমে দ্বিতল শয্যা স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বাঙ্কবেড বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে। ডাকসুর অনুরোধের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট কমিটির সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সূত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া এবং বিভাগীয় সেমিনারগুলো বর্তমান সময়ের চাইতে অতিরিক্ত ৩ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
সূত্রটি জানায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাহী সভায় গণরুমগুলোকে ‘বন্ধুরুম’ হিসেবে আখ্যা এবং এসব পর্যাপ্ত দ্বিতল শয্যা, ক্যাবিনেট, পৃথক পাঠকক্ষ তৈরির অনুরোধ জানায়। ঐ সভায় আবাসন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। ডাকসুর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরবর্তী প্রভোস্ট কমিটির মিটিং এ এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল রুমে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী অবস্থান করে সেখানে আমরা দ্বিতল শয্যা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হল প্রশাসনগুলো তাদের সুবিধা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট দূর করতে প্রাক্তন ছাত্রদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আদেশ অমান্য করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, গত প্রভোস্ট কমিটির সভায় আমরা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এবারের সভায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে আগামীতে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।