বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবি ডাকসু ভিপির
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৭ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৭ PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও তাঁর সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে খোন্দকার নাসিরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে তারা। কর্মসূচী শেষে তারা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যে এস শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
ডাকসু ভিপি নুরুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলদাস ও অনুগত ব্যক্তিদের দিয়ে পরিচালনার মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে প্রশাসন ছাত্রলীগের মাস্তান বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই আমরা এই চিত্র দেখেছি। একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুণ্যভূমি গোপালগঞ্জে। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বাছুর বলে মন্তব্য করেন।
নুরুল হক বলেন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে ক্যাম্পাসে না আসতে পারেন, তার জন্য একটি সাঁকো পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের প্রশাসনকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিকে যে উপাচার্য কলঙ্কিত করলেন, আপনারা তাঁর ও তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এমন অপদার্থ একজন উপাচার্য গোপালগঞ্জের মাটিতে থাকতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ষড়যন্ত্র খোঁজা হলে তার ফল ভালো হবে না।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিনিয়ার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করলেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ এনেছে। এছাড়া এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৭ জন শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে বহিষ্কার করেছে। যাদের অনেকেরই এখনো কোন সুরাহা হয়নি।
মামুন বলেন, বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য খোন্দকার নাসিরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে আমরা প্রয়োজনে গোপালগঞ্জে যাব। আমরা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামীকাল রোববার থেকে ১১ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নুরউদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই আদেশে আজ সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।