ভর্তিচ্ছুদের জন্য নিজের রুম ছেড়ে দিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিজ রুম ছেড়ে অন্য রুমে থাকছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বর্তমানে হলের জিএস কাজলের রুমে অবস্থান করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, জগন্নাথ হলের ৩০১৫ নম্বর রুমে থাকেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। গত চার দিন যাবত তিনি রুম ছাড়া এবং তার রুমে অবস্থান করছে কিছু ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় গত ১৩ তারিখ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে সারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আসে ক্যাম্পাসে। পরীক্ষার আগের দিন প্রায় কয়েক হাজার ভর্তি পরীক্ষার্থী হল গুলোতে রাত্রি যাপন করে। পরিচিত কেউ থাকলে তাদের রুমে থাকে আর যাদের তেমন পরিচিত কেউ থাকেনা তারা গনরুম,মসজিদ, বারান্দা এমনকি হলের ছাদেও অনেক কষ্ট করে রাত্রি যাপন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার রাতে হাকিমের আড্ডায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন কোন হলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা না থাকলে তার রুমে পাঠিয়ে দিতে এবং পরীক্ষার আগের রাতে নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দেন, কোন শিক্ষার্থীদের থাকার সমস্যা হলে নির্দ্বিধায় তার রুমে চলে যেতে।
এরপর তিনি জানতে পারেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আগত কিছু পরীক্ষার্থী জগন্নাথ হলের ছাদে ঘুমাচ্ছে। খবর পেয়ে তিনি সাথে সাথে তাদেরকে ডেকে এনে নিজের রুমে থাকার জায়গা করে দেন এবং সারা রাত তিনি বারান্দায় বসে কাটান। ঐ রাতে ৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে নিজের রুমে জায়গা করে দেন এদের মধ্যে ৪ জন সি ইউনিট ও চ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে চলে গেলেও বাকি ৪ জন শিক্ষার্থীর ২০, ২১ তারিখ পরীক্ষা থাকায় ওরা তার রুমেই থেকে যায়।
এমতবস্থায় ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিজের রুমে থাকার জায়গা করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস নিজে ঘুমানোর জন্য জায়গা করে নিয়েছে হলের জিএস কাজলের রুমে।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশুনায় বিঘ্নতা না ঘটে এই জন্য গত চারদিন যাবৎ তিনি নিজের রুমে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি হলের জিএসের রুমে থাকছি। কিছু শিক্ষার্থীর থাকার জায়গা ছিল না আমি আমার রুমে তাদের থাকতে দিয়েছি।