বাচ্চার জন্য মায়ের আকুতি, উদ্ধার করল ঢাবি ছাত্র

তুলনাহীন ভালোবাসার এক মহাসমুদ্রের নাম মা। পৃথিবীতে মায়ের সাথে তুলনা হয় এমন মনুষ্য প্রাণী তো নাই, মায়ের মতো ভালোবাসে এমন প্রেমময় মানব-মানবীও দ্বিতীয় আর নাই। সন্তানের জন্য মায়ের জীবন উৎসর্গের ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করার জন্য মায়ের ত্যাগ তিতিক্ষার পরিমাণ হয় না। পরিমাপও করা যায়না মায়ের সে ভালোবাসা।

কিভাবে পরিমাপ করবে! মায়ের ভালোবাসা মাপার মতো কোনো যন্ত্রও তো নাই। কেউ মাকে নিয়ে গল্প উপন্যাস লিখে কেউ মায়ের প্রকৃত ভালোবাসার দৃষ্টান্ত যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে বলে মনে হয়না। পারবেও না। মায়ের উদাহরণ মা নিজেই। মায়ের কোনো বিকল্প নাই। মায়ের গল্পের নায়ক প্রকৃত মায়েরাই হয়।

মা যে সন্তানের জন্য ভালবাসার মহাসমুদ্র এটা আবার প্রমাণ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে আটকে থাকা বিড়াল ছানার মা। গত দুদিন থেকে কার্জন হলের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে আটকে পড়েছিল বিড়ালের তিনটি ছানা।

গত বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষে ডিপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ ডিপার্টমেন্ট বন্ধ দিলে ভিতরে আটকে যায় বিড়ালের তিনটি ছানা। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিড়াল ছানা তিনটি ক্লাসরুমের ভিতরে আটকে থাকে। বাইরে থেকে বিড়ালের মা সন্তানের জন্য ছুটাছুটি করতে থাকে। অসহায় মা সন্তানকে বাঁচাতে তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু চালিয়ে যেতে থাকে। দুই দিন ধরে ক্ষুধার্ত বাচ্চার এই বন্দী দশায় অসহায় মায়ের আর্তনাদে ভারী হয়ে যায় পুরো কার্জন।

তবে, মা ও তার ছানার এমন ভিডিও অপরাজেয় বাংলা ও স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে ভাইরাল হতেই তাদের উদ্ধার করতে ছুটে যান ঢাবি শিক্ষার্থী, কোটা সংস্কার নেতা বিনি ইয়ামিন মোল্লা। তার সাথে ছিলেন আবদুল্লাহ হিল বাকী, সায়িফ সবুজ সহ আরো একজন। তাদের চেষ্টা ও বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উদ্ধার করা কোটা নেতা বিনি ইয়ামিন মোল্লা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা সেখানে পাশের রুমে উপস্থিত কয়েক জন শিক্ষককে অনেকক্ষণ কল করতে থাকি। তারা যেন স্টাফকে বলে চাবি নিয়ে আসে। প্রায় বিশ মিনিট পর সে চাবি নিয়ে আসে। পরে আমরা সকলে মিলে আরো প্রায় বিশ মিনিট চেষ্টা করে বিড়াল ছানা গুলোকে উদ্ধার করি।


সর্বশেষ সংবাদ