নুরকে উদ্ধার, হাসপাতালে নিচ্ছে পুলিশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০১৯, ০২:২৫ PM , আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৯, ০৫:১৩ PM
পটুয়াখালির গলাচিপায় হামলার শিকার ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর দুইটার পর তাকে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পুলিশ নিয়ে যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে থাকতে দেয়া হয়নি । এমনটাই জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত নুরকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসময় পুলিশ কোন ছবি তুলতে দেয়নি। এছাড়া পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে থাকতে দিচ্ছে না বলে আমরা জানতে পেরেছি।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হামলার পর ভিপি নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার সংযোগ সেতু উলানিয়া বন্দরে আসার এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক নুরদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের অনেকের হাতে লাঠি রড় ও স্টিলের বার ছিল। এবং নুরদের একটি স্টিলের দোকান নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনেক হৈচৈ হয়েছে।
এর আগে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু কথা বলা সম্ভব হয়নি। এছাড়া হামলার সময় যারা নুরের সঙ্গে ছিলেন তারা জানান, নুরকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবরোধ করে রেখেছেন।
হামলার সময় নুরের সঙ্গে ছিলেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাহিম। তিনি জানিয়েছেন, হামলার এক পর্যায়ে নুরকে ওই দোকানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগ নেতা মাইনুল হাসান রনো ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ফরিদ আহসান কচিন।
এদিকে হামলার খবর পাওয়া পর ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুর মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে লাইন ব্যস্ত রয়েছে বলে সংযোগ কেটে যাচ্ছে।
খবর পেয়ে পটুয়াখালীর সার্কেল এসপি মু. হাফিজুর রহমান ও গলাচিপা থানার ওসি আকতার হোসেন তাকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গলাচিপা থানার ওসি আকতার হোসেন নুরের ওপর হামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারী এ হামলা চালিয়েছে। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে ওসি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।
এর আগে গত রমজানে বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে হামলার শিকার ভিপি নুর সহ অনেকে। সেখানেও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তবে হামলার ঘটনায় নিজেদের নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা পায়নি বলে দাবি ছাত্রলীগের।