শিক্ষার মান ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে: টিআইবি পরিচালক
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দেশে শিক্ষার মান ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা স্বীকার করি যে বাংলাদেশ সাম্প্রতিকালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) আলোকে বিভিন্নখাতে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে পেরেছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।কিন্তু শিক্ষাখাতে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, শিক্ষার গুণগতমান ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তাই আমরা যদি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই তাহলে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দেশের তরুণ সমাজও চায় দেশে শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন হোক।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০১৯ উপলক্ষ্যে ‘তারুণ্যের প্রত্যাশাঃ চাই গুণগত শিক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে টিআইবি কর্তৃক আয়োজিত এক মানবন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, আমরা যদি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী সত্যিকার অর্থে সাফল্য অর্জন করতে চাই তাহলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের প্রতি কোনো করুনা নয় বরং তাদের অংশগ্রহণ করার মত একটা পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন অথবা কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমরা দেখেছি তরুণ সমাজ যখন নিজেদের হাতে দায়িত্ব তুলে নেয় বা দায়িত্ব পালন করার মত পরিবেশ পায়, তখন তারা অনেক কিছু করতে পারে। তাই তাদের সে জায়গায় যাওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের।
তিনি বলেন, আইনি কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে রুদ্ধ করে। এটা সংস্কার করতে হবে যাতে করে তরুণ সমাজ তাদের মত প্রকাশ এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে তারা কী চায় সেগুলো প্রকাশ করতে পারে।
উক্ত মানববন্ধনে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অর্জনের মাধ্যমে সরকার প্রতিশ্রুত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে টিআইবি ও এর তরুণ অংশীজনেরা ১২টি সুপারিশ উপস্থাপন করে।
টিআইবি’র ১২টি সুপারিশ: