ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভাগ দিবস-২০১৯ আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদযাপিত হয়েছে। বিভাগটির প্রতিষ্ঠা দিবস হলেও আগামীকাল শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হাওয়ায় একদিন আগেই তা পালন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে দিয়ে লেকচার থিয়েটারে গিয়ে মেষ হয়।
সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া, এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য সাংবাদিকতা’ বিষয়ে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের জন্য স্থিতিশীলতা দরকার। যারা অস্থির প্রকৃতির তারা কখনো উদার মনের হতে পারবে না। তাদের মধ্যে এক ধরনের কঠোরতা, কট্টরবাদিতা চলে আসে।’
তিনি বলেন, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ স্নাতকরা সমাজের বিভিন্ন পরিবর্তনসূচক ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। এর কারণ সত্যনিষ্ঠতা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ এই বিভাগের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করুক। তাহলে বিভাগের উত্তরোত্তর উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরো সমাজ কল্যাণ লাভ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য সাংবাদিকতা' সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। সরকার, সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের কাছে এর সংজ্ঞা একেক রকম। সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আইন, বিচার ও শাসন বিভাগের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকা উচিত নয়।’
এসময় তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকদের চেয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা অনেক সাহসী এবং বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বেশি আশাব্যঞ্জক বলে দাবি করেন।এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপকারিতা ও উপকারিতা তুলে ধরে এর অপব্যবহার রুধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক মনজুরুল।
অধ্যাপক মনজুরুল বলেন, ‘সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা বলতে কিছু নেই। বস্তুনিষ্ঠতার ফাঁকে অপরাধীরা পার পেয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি। তাই সত্যনিষ্ঠতা, ন্যায় ও নিয়মনিষ্ঠতার জন্য সাংবাদিকতা হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন বিভিন্ন শিক্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।