৩০ জুলাই ২০১৯, ২০:৪২

ভিসি প্যানেল: ৬ ভোট বেশি পেলেন অধ্যাপক সামাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের নীল দলের ভিসি প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ পেয়েছেন ৪২ ভোট অপরদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান পেয়েছেন ৩৬ ভোট। তাদের মধ্যে ৬ ভোটের ব্যবধান।

আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নীল দলের অভ্যন্তরীণ সভায় এই প্যানেল মনোনীত হয়। নীল দলের মোট ৫৪ জন ভোটারের মধ্যে একজন অনুপস্থিত ছিলেন। আর একটি ভোট নষ্ট হয়েছে। সুতরাং মোট ভোট পড়েছে ৫২টি।

এর আগে সন্ধ্যায় ছয়টা থেকে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষক, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট সবাইকে নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তিন জনের ভিসি প্যানেল উত্থাপন করা হয়। তা নিয়ে মতৈক্য হওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এস এম মাকসুদ কামাল ৩০ ভোট পেয়ে প্যানেলে মনোনীত হয়েছেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড নাসরীন আহমাদ ২৮ ভোট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মীজানুর রহমান ২০ ভোট পেয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সিনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১০৫ জন। যার মধ্যে বেশিরভাগ সদস্য নীল দলের। শিক্ষক প্রতিনিধিদের ৩৫ জনের মধ্যে ৩৩ জন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের সময়ে নির্বাচিত। বাকি দুই জন বিএনপি সমর্থক সাদা দল থেকে নির্বাচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২১ (২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আগামীকাল বুধবারের সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। সিনেটের এই বিশেষ অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ১১(১) ধারা অনুযায়ী আচার্যের কাছে উপাচার্য নিয়োগের জন্য তিন জনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। 

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে উপাচার্য পদে সাময়িক নিয়োগ দেন। সে সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) দায়িত্বে ছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ অধিবেশন ডেকে তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তবে তখন সিনেট পূর্ণাঙ্গ ছিল না। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ১০ অক্টোবর সিনেটের সেই বিশেষ সভা ও তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেলকে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। ছয় মাসের মধ্যে যথাযথভাবে সিনেট গঠন করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনাও দেন আদালত। এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট পূর্ণাঙ্গ রয়েছে।