২৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:১৪

ভিসি স্যারের ১৫ দিন পর তো ঈদ ছুটি

১৫ দিনের মধ্যে সাত কলেজের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাত কলেজের অধিভুক্তি হয়েছে। তাই সাত কলেজের সুষ্ঠু সমাধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষা হয় এই জন্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটির সমাধান করা হবে।

এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল সংসদের সহ-সভাপতি শেখ তাসনিম আফরোজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, ‘ভিসি স্যার ১৫ দিনের মধ্যে অধিভুক্তি সমস্যার সমাধান দেবেন বলেছেন। বলে রাখি, পনেরো দিন পরে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। এবার একটু ফ্লাশব্যাকে যাই, আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না, ৩১মার্চ রাতে এস এম হলের শিক্ষার্থী ফরিদের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু জানোয়ার হামলে পড়ে।’

‘এর প্রতিবাদে ২ এপ্রিল আমারা এস এম হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে যাই। সেখানে ডাকসু ভিপিসহ প্রত্যেকের গায়ে ডিম ছোঁড়া হয়। মেয়েদেরকেও রেহাই দেয়া হয়নি সেদিন। অনিক ছেলেটার টি-শার্টে বুকের কাছে ছিল জুতোর ছাপ। নূর ভাই, আখতারের চোখেমুখে লেপ্টে ছিল ডিম। সেই অবস্থাতেই আমরা ভিসির বাস ভবনের সামনে অবস্থান করি। সারারাত কেউ খোঁজ নেয়নি, রাত তিনটার পরে প্রোক্টর এসেছিলেন। আমরা টোপ না গিলে সারা রাতই সেখানে কাটাই।’

‘তো এই অসম্মানের বিচার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই। ৩মার্চ সকালে স্যার আমাদেরকে বুঝিয়ে তার অফিসে নিয়ে যান। আমাদের অভিযোগ শোনেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারের আশ্বাস দেন। এজ ইউজুয়াল, তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।’

‘আর তারপর? দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়... আজও পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েকবার স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনো তদন্ত প্রতিবেদনই দাখিল হয়নি! একটাই অনুরোধ, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ফিরে যাইয়েন না। প্রতারিত হবেন।’