সাত কলেজ অধিভুক্তির সঙ্গে মারধরের সম্পর্ক নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় অধিভুক্তি আন্দোলনের সম্পর্ক নেই বলে জানালেন আহত শিক্ষার্থী হাসান চৌধুরী পিয়াল। এর আগে অভিযোগ ওঠে, চলমান সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করায় এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পিয়াল ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানান। তিনি লেখেন, ‘নীলক্ষেত মোড়ে আজকে আমার সাথে ঢাকা কলেজের ছেলেদের সাথে যে ঝামেলা হয়েছে তার সাথে ৭ কলেজ অধিভুক্তি বাতিল আন্দোলনের কোন সম্পৃততা নেই।’
‘ঘটনার বিবরণ— গত শুক্রবার বিসিএস কনফিডেন্স শাখায় (নীলক্ষেত মোড়) ক্লাস করতে গিয়ে ক্লাস রুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সাথে ঢাকা কলেজের একজন ছাত্রের কথা কাটাকাটি হয়। এর সাথেও আমার কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না।’
‘তাদের ধরণা ছিলো আমি ক্লাসে ঝামেলা করা ছেলেটির বন্ধু। কিন্তু আমি কোন ঝামেলায় ছিলাম না। বা ক্লাস রুম এ ঝামেলায় যারা ছিলো তাদেরকেও ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না।’
মাস্টার্সে অধ্যায়নরত ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান চৌধুরী পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের এবং মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আজ সোমবার রাত আটটার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে এ রক্তাক্তের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম আহত পিয়ালকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী পিয়াল কোচিং করতে নীলক্ষেত যায়। নীলক্ষেত থেকে কোচিং করে ফেরার সময় ঢাকা কলেজের ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী তাকে ঘিরে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করে। জানা যায়, শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হওয়ার কারণেই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে। ঢাকা কলেজের ওইসব শিক্ষার্থীদের সাথে পিয়াল হাসানের কোন কথা কাটাকাটি বা পূর্ব শত্রুতা নাই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজ বাতিল আন্দোলনের মুখপাত্র শাকিল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, পিয়াল ভাই নীলক্ষেত মোড়ে কোচিং করতে গেলে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে। আমি এখন ইমারজেন্সিতে আছি পিয়াল ভাইয়ের সাথে। ডাক্তার কয়েকটি এক্সরে দিয়েছে। ভাইয়ের নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে।
এ বিষয়ে মহসিন হলের প্রভোস্ট নিজামুল হক ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না আমার কাছে এখনো কোন মেসেজ আসেনি।’
প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রক্টরিয়াল টিমের সাহায্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হলের প্রাধ্যক্ষকে তথ্য দেওয়া হয়েছে বিষয়টি কী জেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’