সাত কলেজে গণহারে ফেল, বিশেষ পরীক্ষার আশ্বাস
সাত কলেজের আন্দোলনের মুখে পড়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গণহারে অকৃতকার্যের বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দিবে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে সাত কলেজের আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কে এম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের কয়েজনের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, সাত কলেজের গণহারে বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনায় নিয়েছে। সাত কলেজের প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদেরকে একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বছরে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। তবে তিনের অধিক বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলেও সে শিক্ষার্থী শুধু মাত্র তিনটি পরীক্ষা দিতে পারবে।এ তিনটি পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তাকে পরবর্তী বছরের সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সাত কলেজে আন্দোলনের মুখপাত্র ইসমাইল সম্রাট দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যারা গণহারে ফেল করেছে তাদের একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বছরে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে সর্বোচ্চ তিনটি সাবজেক্টে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, সাত কলেজের প্রতিনিধিদল আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের দাবিগুলো শুনেছি। আমরা তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করব।
প্রসঙ্গত, দ্রুত ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে এবং ‘গণহারে ফেল’ করানোর প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন। এসময় তারা অভিযোগ করেছেন, ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে গণহারে ফেল করানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নতুন নিয়ম কার্যকর করায় ভোগান্তিতে পড়ছেনে তারা। এভাবে গণহারে ফেল মেনে নেয়া যায় না। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সিজিপিএ ২.০০ এর কম পেলে ফেল হিসেবে ধরা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের এ তথ্য জানানো হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর সেশনজট কমার পাশাপাশি শিক্ষার মান বাড়বে। তবে সে আশা পূরণ হয়নি। ফল প্রকাশে বাড়তি সময় নেওয়া হচ্ছে। এসময় অবিলম্বে দাবি মেনে না নেওয়া হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।