পাশ-ফেলের বিষয়টি ব্যক্তিগত, রাজনীতি শোভনীয় নয়: সাদ্দাম
পরীক্ষায় পাশ-ফেলের বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত, এটি নিয়ে রাজনীতি করা শোভনীয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস। বর্তমানে চতুর্থ বর্ষের প্রথম পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃতীয় বর্ষের সমপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি এবং ফলাফলের খাতায়ও আসেনি তাঁর নাম। তবু চতুর্থ বর্ষে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। নিয়মিত ক্লাস করছেন, পরীক্ষা দিচ্ছেন। এ নিয়ে অনেকে অভিযোগ করছেন, বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিতদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মানা হচ্ছে না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দশজন শিক্ষার্থী যে উপায়ে বা নিয়ম মেনে ফেল করা বিষয়ে উত্তীর্ণ হন, ঠিক একই নিয়মে সাদ্দামও উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যক্তিগত বিষয়কে রাজনীতিতে নিয়ে আসছে বলে দাবি সাদ্দামের।
ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে সাবলিমেন্টারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা ফেল করা বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। আইন অনুষদেও একইভাবে সাবলিমেন্টারি পদ্ধতি রয়েছে। আমার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কাজ করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার প্রতিপক্ষরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছে। তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছি। আমি মনে করি, বিষয়টি আমার একান্ত ব্যক্তিগত। যারা এটি নিয়ে রাজনীতি করতে চাই, তাদের উদ্দেশ্য আমার জানা আছে। আর পরীক্ষায় পাশ-ফেলের বিষয়টি একান্ত সবার ব্যক্তিগত, এটি নিয়ে রাজনীতি করা শোভনীয় নয়।’
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, মানবিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের এমন সুযোগ দেওয়া হয়। তাঁর ক্ষেত্রেও তেমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগ দেওয়া না হলে অনেকেই শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। সব জায়গায় আইনের প্রয়োগ ঘটানো যায় না। আইনে এমন অনেক কিছুই আছে, যা বাস্তবতার নিরিখে চিন্তা করলে তার প্রয়োগ সম্ভব হয় না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সেসব অভিযোগ স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যতিক্রম সেগুলো ডিন কমিটিতে আসে। তারাই হয়তো এটা করে থাকেন। কমিটি তাঁকে (সাদ্দাম) হয়তো জরিমানার মাধ্যমে ইমপ্রুভের বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।