আজিমপুরে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হলের মুন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে আজমপুর কলোনির বাসিন্দারা। আজ দুপুর দুইটার দিকে ঢাবি শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত কাজে আজিমপুর করব স্থানের সামনে গেল তাকে মারধর করে কলোনির কয়েকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাবি শিক্ষার্থী মুন তার ব্যক্তিগত কাজে আজিমপুর গেলে আজিমপুর কলোনির লোকেরা তাকে মারধর করে। মারধর করার পর ক্ষেপে যায় ঢাবির জহুরুল হক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মারধরের খবর শুনে জহুরুল হক হলের সাধারণ ছাত্ররা বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ছুটে যায় মুনকে যারা মারধর করেছে তাদের মারতে।
কিন্তু তারা কলোনিতে গিয়ে কাউকে মারধর করতে না পেরে মুনকে যারা মারধর করেছিল তাদের মধ্য থেকে একজনকে ধরে নিয়ে আসে ঢাবি ক্যাম্পাসে। তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে জহুরুল হক হলের ছাত্ররা মারধর করতে চাইলে এসএম হলের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী তাতে বাধা প্রদান করে। জহুরুল হলের কিছু শিক্ষার্থী সেই বাধা না মেনে ওই ছেলেকে মারতে গেলে ভিড়ের মধ্যে জহুরুল হক হল ও এসএম হলের কিছু শিক্ষার্থী সামান্য আহত হয়। তবে তেমন কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরেওই ছেলেকে ধরে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জহুরুল হক হলের ভিপি সাইফুল্লাহ আব্বাসী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে দ্রত যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে কলোনির ছেলেটিকে উদ্ধার করি। পরেতাকে প্রক্টোরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দোলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি হল সংসদ ও হল প্রশাসন মিলে মীমাংসা করা হয়েছে। কলোনির ছেলেটিকে প্রক্টোরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাবির ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পলাশী গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এসএম হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পলাশীর মোড় অবরোধ করে ক্যাম্পাসে গণপরিবহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সাধারণ ছাত্ররা গেটটি বন্ধ করে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাত যত বাড়ে ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে বড় বড় গাড়ির সংখ্যা তত বাড়ে। এসব গাড়ির কারণে ক্যাম্পাসে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় বড় বড় গাড়ির কারণে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাচলে নানান সমস্যায় পড়তে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছে ইদানীং গাড়ি চালকরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রচন্ড স্পিডে চালাতে দেখা যায়। যার কারণে গত কয়েকদিনে কয়েকজন ছাত্র দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে। যার ফলে এসএম হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্রদ্ধ হয়ে পলাশী গেটের ওই এলাকার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে গতকাল রাত চারটি লেন বন্ধ করে দিলেও বুধবার দুপুরের দিকে দুটি লেন খুলে দিয়েছেন তারা। এই দুটি লেন দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করছে। জানা যায়, এসএম হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা লেনদুটি খুলে দেয়। তবে চারটি লেনের জায়গায় দুটি লেন খুলে দেওয়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়ে এসএম হলের ভিপি কামালকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
তবে রাস্তা বন্ধ থাকলেও পলাশী মোড়ের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের এ বিষয়ে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে তাদের ডিউটি করতে দেখা যায়।