০৮ জুলাই ২০১৯, ১১:১৮

অগ্নিকাণ্ডের পর আংশিক খুলেছে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে (সেন্ট্রাল লাইব্রেরী) আগুন লাগার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য তা আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে আজ সোমবার সকাল থেকে সেখানে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী যেতে পেরেছেন।

গতকাল রোববার সকালে লাইব্রেরীতে আগুন লাগলে আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। এতে লাইব্রেরীর কিছু অংশ পুড়ে গেলেও বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার পর লাইব্রেরী বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এ নিয়ে গতকালই নোটিশ দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, আজ থেকে লাইব্রেরীর পাঠকসেবা যথারীতি চালু থাকবে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে মেইন কেবল পুড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার এক্সটেনশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

আজ লাইব্রেরীতে পড়তে যাওয়া সোহরাব নাজমুল ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এক্সটেনশন বন্ধ থাকায় লাইব্রেরীতে আগের তুলনায় অর্ধেক শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে নিয়মিত যারা তারা সকালেই লাইব্রেরীতে আসেন বলে তিনি জানান।

ত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার লাইব্রেরীর পিছনের গেটের পাশের কয়েকটি তার থেকে আগুন লেগে ধোঁয়া ছাড়িয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে লাইব্রেরীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে এতে পুরোপুরি সফল হননি তারা।

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। নীলক্ষেত ও গুলিস্তান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর থেকে লাইব্রেরীর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।

আগুন লাগার পরপরই সেখানে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রাশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া শাহবাগ থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌছায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে কয়েক হাজার ধরণের বই রয়েছে। এছাড়া কিছু দুর্লভ পাণ্ডুলিপি ও  ম্যাগাজিনও রয়েছে। সেখানে নিয়মিত দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।