রহস্যটা কি তাহলে অজানাই রয়ে গেল!

  © সংগৃহীত

আজকে নয়ন বন্ড পুলিশের সাথে এক গভীররাতের বন্দুক যুদ্ধে নিয়ত হয়েছেন। এতে হয়তো আমারা অনেকেই আনন্দিত। আমিও আপনাদের সাথে আনন্দিত একটি কারণে আর তা হলো বিচারহীনতার সংস্কৃতি মধ্যে এরকম দ্রুত শাস্তি প্রদান আসলেই খুশির সংবাদ।

এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির যুগে মানুষ যখন এরকম দুএকটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তখন সাময়িক আনন্দ পাওয়ার-ই স্বাভাবিক। যায়হোক, নয়ন বন্ড মারা গেলো তাতে আমাদের মতো আম পাবলিকের কোন জায় আসে না।

এখন আসল কথা হচ্ছে, এই নয়ন বন্ডদের কে বা কারা তৈরি করেছিল এবং এখনো করতেছে? কাদের ছত্রছায়ায় এই নয়ন বন্ডরা দিনের পর দিন অপরাধ জগতে মাতিয়ে বেড়াচ্ছে? কারা সময়ের প্রয়োজনে এই নয়ন বন্ডের তৈরি করে আবার সময় এবং প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে রাস্তায় ছুড়ে মারে?

দেশে কি আইন আদালত নেই যে নয়ন বন্ডকে এভাবে মধ্যেরাতে মরতে হবে? নাকি নয়ন বন্ড বেচে থাকলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসতো? নাকি এই নয়ন বন্ডের জন্য অনেক রাঘব বোয়ালরা ফেঁসে যেতো?

এই অজানা রহস্য বের করার জন্য জীবিত নয়ন বন্ডেকে আজ খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য নয়ন বন্ড কে আমরা রহস্যময় একটি ঘটনার বেড়াজালে হারিয়ে ফেললাম।

নয়ন বন্ডের মৃত্যুতে আবেগী বাঙ্গালী হয়তো সাময়িক আনন্দিত হলেও প্রকৃতপক্ষে খুশি নন। আমরা তখনি খুশি হতাম যদি নয়ন বন্ডকে আদালতের মাধ্যমে জনতার সামনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হতো।


লেখক: যুগ্ম-আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।


সর্বশেষ সংবাদ