সাত কলেজ নিয়ে কথা রাখেননি ঢাবি ভিসি
সাত কলেজ সমস্যা সমাধানের লিখিত আশ্বাস দিলেও তা রাখেননি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলনের পথেই হাঁটছেন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়ায় সাত কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এমনটিই জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৬ জুলাই প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মতবিনিময় সভায় সাত কলেজের প্রতিনিধিরা বলেন, সরকারি এই সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করার পর থেকে ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর। নানান অনিয়মের অভিযোগ করে আমরা সমাধান চেয়ে বারবার রাস্তায় নেমেছি, কিন্তু কার্যকরী কোনো বারই আমাদের জন্য কার্যকরী সমাধান আসেনি। ঢাবির অধিভুক্তর পর থেকে তীব্র সেশনজট, ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা, ত্রুটিযুক্ত ফল প্রকাশসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এসব সমস্যার সমাধানে ঢাবি কর্তৃপক্ষ দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
তাই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আবারো ফের আন্দোলন শুরুর কথা চিন্তা করেছে এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন সময় মতো পরীক্ষা না নেওয়া, রেজাল্ট প্রকাশে সাত থেকে আট মাস বিলম্ব করা, বিনা নোটিশে নতুন নিয়ম কার্যকর, একই বিষয়ে গণহারে ফেল, খাতার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া, সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নপদ্ধতিসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ঢাবি কর্তৃপক্ষ বার বার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার ফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তাদের অবস্থান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করে তিনি।
তাই এই সকল বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে মানববন্ধনের পর আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ- এই সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যয়নরত আছে আড়াই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। একই বছর পরীক্ষার রুটিনের দাবিতে আন্দোলনে যেয়ে পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে দুই চোখ হারায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান।