৩০ জুন ২০১৯, ১৫:৩৪

কাল ৯৯ বছরে পদার্পন করবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড

  © ফাইল ফটো

আগামীকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯২১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আজ রবিবার অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিং-এ তিনি এই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনসহ সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ বছরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ‘মুজিববর্ষ ২০২০’ এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব ২০২১’ এর আগমনী বার্তা। এ দু’টি বেঞ্চমার্ককে সামনে রেখে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞান ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে একজন এমিরিটাস অধ্যাপকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির পরামর্শ ও সুপারিশের ভিত্তিতে নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। বিশ্ব র‌্যাংকিং-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুসংহত করতে এই কমিটি ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে তিনি গণমাধ্যমের সমর্থন ও সহযোগিতা চান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে - সকাল ১০টার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মলে জমায়েত, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা, সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গমন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মল-চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‌‌‌‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইংরেজি বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে দুর্লভ পাণ্ডলিপি প্রদর্শন করা হবে। চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বেলা ৩টায় অনুষদ প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কার্জন হল ভবনের উত্তর-পূর্ব বারান্দায় উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর উদ্যোগে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং পুলে সাঁতার প্রতিযোগিতা, দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে সাইকেল শোভাযাত্রা এবং বিকেল ৩.০০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও ডাকসু’র মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল দিনব্যাপী স্ব স্ব কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কেক কাটা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ, মিষ্টি বিতরণ ও আলোকসজ্জা।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জার ব্যবস্থাসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে সুসজ্জিত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ১ জুলাই ২০১৯ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অফিস যথারীতি খোলা থাকবে।