২৯ জুন ২০১৯, ২০:১৮

জিনাত হুদার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বাজেট অধিবেশনে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদার বক্তব্যে নিন্দা জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। শনিবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস এ নিন্দা জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেট অধিবেশনে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের প্রতি ‘কত টাকা টিউশন ফি দেন’ অবজ্ঞাশীর্ষক যে প্রশ্ন তোলেন একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক কখনো এধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না।

তারা বলেন, তাকে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সার্বিক খরচ এমনকি শিক্ষক-কর্মকর্তারা যে বেতন পান, যে বিপুল সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন তা এই দেশের আপামর সাধারণ কৃষিজীবী শ্রমিক-সাধারণ চাকরিজীবীদের রক্ত-ঘামে প্রদানকৃত ট্যাক্স থেকে আসে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কৃষিজীবী-শ্রমিক-সাধারন চাকরিজীবীদের সন্তানদের জন্য নির্মিত। ছাত্র ইউনিয়ন ড. জিনাত হুদার শিক্ষার্থীদের প্রতি তোলা প্রশ্ন প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা সংকোচনের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, ছাত্র ইউনিয়ন দীর্ঘ দিন ধরে ‘গবেষণা খাতে’ বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ সব বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করা, সব প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার্থীদের বহন করা বাসগুলো রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখা ইত্যাদি দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। অধিবেশনের দিনও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো ও উন্নয়ন ফি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে সিনেট ভবনের বাইরে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন। এবারের বাজেটে পণ্য ও সেবাখাত এবং অন্যান্য অনুদান খাতের আওতায় গবেষণার জন্য মোট বরাদ্দ ৪০ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা যা বাজেটের মাত্র ৫.০৪ শতাংশ। অথচ বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা যা মোট বাজেটের ৩১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ভাতাদি বাবদ সহায়তা খাতে ১৯৫ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা যা মোট ব্যয়ের ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এই বিদ্যমান বাজেটে শিক্ষার্থীবান্ধব বিষয়গুলোকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে উল্লেখ কওে এর ফলে শিক্ষার মানে অবনমন ঘটবে বলে দাবি করে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটি সিনেট সদস্যদের এই বাজেট বাতিল করে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সমাধান করে শিক্ষাবান্ধব নতুন বাজেট অনুমোদনের আহ্বান জানানো হয়।