৩০ মে ২০১৯, ১১:২৮

আজ ঢাবির ছাত্র পরিচয় দিতেই লজ্জা লাগছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোন ধরণের ‘কারচুপি’র প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অনিয়মের বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগকারী ও নির্বাচনে জিএস হিসেবে প্রার্থীতাকারী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি লিখেছেন,

‘ডাকসু নির্বাচনে কি পরিমাণ কারচুপি হয়েছে তা গোটা বিশ্ব দেখেছে, অথচ এর কোন প্রমাণ খুঁজে পায়নি তথাকথিত ‘তদন্ত কমিটি’। তারা প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, ডাকসু নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।

এই তদন্ত কমিটির সাথে ডাকসু নির্বাচনে একজন প্রার্থী ও একমাত্র লিখিত অভিযোগকারী হিসেবে ঘন্টাখানেক তর্কবিতর্ক করার সুযোগ হয়েছিলো। আমি তাদের হাতে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার ২০ টা রিপোর্টসহ, আমার সংগৃহীত তথ্য উপাত্ত ও ছবি তুলে দিয়েছিলাম এবং কারচুপির প্রমাণসহ বিশ্লেষণ করেছিলাম। আমার কাছে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিল এবং আমি তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেছিলাম। আমি আমার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর করেছিলাম, কিন্তু তারা আমার কোন প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি। সেই মিটিংয়ে তারা আমার কাছে এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছিলো যে, ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে এবং তারা আরও বলেছিলো যে, আমি যেম তাদের উপর আস্থা রাখি। আমি বলেছিলাম, আপনাদের উপর আমার কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর আস্থা নেই। আপনারা কি রিপোর্ট প্রকাশ করবেন তা আমি জানি৷ তারা বলেছিলেন, আমরা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রিপোর্ট দিবো, যা ঘটেছে তাই তুলে ধরবো, আমাদের উপর বিশ্বাস রাখো, শিক্ষকরা কখনো কারও পক্ষে বিপক্ষে নয়, তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। আমি বলেছিলাম, রিপোর্ট দিলেই সেটি বোঝা যাবে৷

তার ভাষায়, ‘আমার ধারণাই আজ সত্যি হলো। তারা আমার কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আজ তাদের সম্মান হারালো। তারা নৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে পরাজিত হলো। তাই আমি বলতে চাই, এই শিক্ষকরা আজ আর শিক্ষক থাকলো না, তারা চুরিকে সমর্থন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করলো৷ তারা ক্ষমতার লোভে, প্রশাসনে ভাল পদের মোহে পুরো জাতির কাছে নিজেদের ছোট করলো, ছোট করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে।

আপনাদের একটা কথা বলতে চাই, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। আজ হোক, কাল হোক সত্য উন্মোচিত হবে। আর সেটি আপনারাই প্রকাশ করবেন। সেদিন লজ্জায় এই সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন? ছিঃ, আপনাদের এতোটা অধঃপতন হয়েছে, আমার ভাবতে লজ্জা হচ্ছে, নিজেকে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতেই লজ্জা লাগছে।’

আরো পড়ুন:ডাকসুর সভা আজ: শেখ হাসিনার সদস্যপদ প্রস্তাবসহ যা থাকছে

পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা (তালিকা)

পড়ুন: প্রেম কষ্ট দিলেও যে সুখ দেয়, তার সমকক্ষ কিছুই নেই (ভিডিও): আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ