নুরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কোটা আন্দোলনকারীরা, চলছে মামলার প্রস্তুতি
- শিউলি রহমান
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০১৯, ০১:০৫ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০১৯, ০১:৪৩ PM
বগুড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পর তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এখন তার নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের লিখিত আবেদন জানাবেন তারা। এছাড়া বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বগুড়ায় হামলার পর আহত নুরুল হক বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কামুক্ত। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে তার আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হবে।
ওই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানও। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’কে বলেন, ‘নুরুল হকসহ আমাদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আগামী দু’তিনদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ হামলা উপর মহলের নির্দেশে হয়েছে সেটা পরিষ্কার। নাহলে এভাবে হামলা হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘নুর এখন শুধু ব্যক্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। তার ওপর এভাবে হামলা মেনে নেওয়া যায় না। তার নিরাপত্তার জন্য শঙ্কা থেকেই যায়। কোথাও বের হওয়াও অনিরাপদ হয়ে গেছে। এজন্য তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রাশসনে লিখিত আবেদন করা হবে।’
বগুড়া ও বাহ্মণবাড়িয়ায় নুরুল হক নুর এবং তার সঙ্গীদের উপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এরমধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
ফারুক হাসান বলেন, ‘৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হলে আমরা সবাই বসব। সেখানে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আলোচনা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণেই এভাবে একের পর এক হামলা হচ্ছে। যারাই প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে তাদেরকেই দমনের চেষ্টা করছে সরকার।’
হামলার প্রতিবাদে গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এর আগে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। সেখানে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এছাড়া গত রবিবার রাতেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তাদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার বিকাল ৫টার দিকে বগুড়া উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ভিপি নুরসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এর আগে বাহ্মণবাড়িয়ায়ও হামলার শিকার হন তারা।