২২ মে ২০১৯, ১৯:২১

গণরুম-গেস্টরুম বন্ধ না করলে ডাকসু হবে লোক দেখানো

গণরুমের-গেস্টরুম সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় জানানোর কথা— প্রায় সব ছাত্র সংগঠনের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। শিক্ষার্থীদের কাছে দেয়া এই অঙ্গীকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত নেতারা রক্ষা করতে পারবেন কী না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। কারণ ডাকসু নেতাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর দুমাস হতে চলেছে কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জোরালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ডাকসুর নির্বাচিত নেতাদের এমন কার্যকলাপে হতাশা প্রকাশ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক এবং ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। বুধবার তিনি এ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি  বলেন—

“ডাকসুর নেতারা অনেক কাজ করে চলেছে।  এগুলো প্রশংসনীয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আপনাদের কাজে কতটুকু সন্তুষ্ট, সেটিও আপনাদের জানতে হবে। কখনো গণরুমে গিয়ে কোন নেতা প্রশ্নে করেছেন— শিক্ষার্থীরা গণরুম চায় কি না? আর গণরুমের ছেলেদের জন্যই তো গেস্টরুম ফরজ। তারা কি আদৌও গেস্টরুম পছন্দ করে?

আপনারা বলে থাকেন, গণরুমের দরকার আছে। এখান থেকে ৬৪ জেলার মানুষের কাছ থেকে ৬৪ রকম শিক্ষা পাওয়া যায়। আর গেস্টরুমে ম্যানার শেখানো হয়। আমার প্রশ— ক্লাসে বা ডিপার্টমেন্টে কী ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরা থাকে না। তাদের সাথে মেশার মাধ্যমে ৬৪ রকম শিক্ষা পাওয়া যায় না। আর ম্যানার (চালচলন) শেখাতে গেস্টরুম লাগে?

আমার চোখের সামনে দেখেছি— প্রোগ্রামে না যাওয়ার কারণে আমার হলের বন্ধুকে নাভির নিচে লাথি দিতে। বেচারা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে হাত চেপে ধরে (পেট বাঁকা করে) হাউমাউ করে কেঁদেছিলো। বাহ! গণরুমের ম্যানার। এই ম্যানার শেখাতে গণরুম লাগে?

কোন কাজ শিক্ষার্থীরা চায় না, তাদের একটাই দাবি— গণরুম ও গেস্টরুম বন্ধ করা। পারলে মূলে হাত দিন। গণরুম-গেস্টরুম বন্ধ করুন। এই মেয়াদে আপনারা ডাকসুর নেতারা গণরুম-গেস্টরুম বন্ধ করতে না পারলে, শিক্ষার্থীরা এই ডাকসুকে অকার্যকর ও লোক দেখানো ডাকসু হিসেবে বিবেচনা করবে।

—পারবেন গণরুম, গেস্টরুম বন্ধ করতে?”