১৩ মে ২০১৯, ১৪:৫৩

ভাইরাল হতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ ঢাবি ছাত্রের

এসআই মেহেদী উজ্জ্বল  © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

চেক করার নামে পকেটে মাদক দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ইশতিয়াক রায়হান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। তিনি জানিয়েছেন, রাতে টিউশনি করে ফেরার পথে পুলিশ তার পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাহবাগ থানা পুলিশের এসআই মেহেদী উজ্জ্বল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মোঃ ইশতিয়াক রায়হান নামের এক যুবক তার ওয়াল থেকে পুলিশের তল্লাশি ও হয়রানির থেকে সাবধানতার জন্য একটা পোস্ট দিয়েছেন। অনেকগুলো গ্রুপে সেটা শেয়ার করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

আমি শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর। তার কাহিনী পড়ে আমার একটু ঘাপলা লাগলো। কেননা উনি গুলিস্তান বঙ্গভবনের পাশের একাধিক চেক পোস্টের কথা বলেছেন সেখানে খোঁজ নিয়ে জানলাম কাল ওখানে কোন চেকপোস্টই হয়নি। আর উনি যেভাবে ঘটনা বর্ননা করেছেন পুলিশ বড় কোন ঘটনা ছাড়া পর পর দুই যায়গায় সাধারনত এভাবে চেকিং করে না।

তারপরও উনার ঘটনা সত্য ধরে নিয়ে উনাকে ম্যাসেঞ্জারে নক করলাম ঘটনার তদন্ত করবো বলে, কিন্তু উনি আমার ম্যাসেজের কোন রিপ্লাই দিলেন না। এমন কি আমার ফোন নাম্বার পর্যন্ত দিলাম বাট কোন রেসপন্স নাই। উনি আবার উনার পোস্টের কমেন্ট অপশন বন্ধ করে রাখছেন তাই ওখানেও কমেন্ট করতে পারছি না। এমন কি উনার লেখাটির স্ক্রিনশট পর্যন্ত নিতে পারছি না!

আমার ধারনা উনি কেবলমাত্র ভাইরাল হওয়ার জন্যই একাজটি করেছেন। কারন তিনি ভালো করেই জানেন এদেশের মানুষের কাছে একবার পুলিশের দোষ দেখাতে পারলেই হলো। সবাই সেই নিউজকে মার মার কাট কাট করে শেয়ার করবে। কোন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত না হয়ে, যাচাই-বাছাই না করে একদল বাঙালি ফেসবুক জ্ঞানী তার এই লেখা ভাইরাল করে দিবে! সেলিব্রিটি হতে আর কি লাগে?

আচ্ছা এই মানুষগুলো এভাবে একটা পেশার প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে কি আনন্দ পায়? খুব জানতে ইচ্ছে করে..’